বামপন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্যাথেরিন কনোলি আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন। ৬৩ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি তার মধ্য-ডানপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী হিদার হামফ্রিসকে পরাজিত করেন। শনিবার সন্ধ্যায় সব ৪৩টি আসনের ভোট গণনা শেষে ৬৮ বছর বয়সী কনোলিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ডাবলিন ক্যাসেলে বিজয়োত্তর ভাষণে কনোলি বলেন,আমি এমন এক প্রেসিডেন্ট হতে চাই, যিনি মানুষের কথা শুনবেন, ভাববেন এবং প্রয়োজনে কথা বলবেন।
তিনি আরও যোগ করেন, আমরা একসাথে এমন এক নতুন প্রজাতন্ত্র গড়ে তুলতে পারি, যা সবার মর্যাদা নিশ্চিত করবে।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ৬৪ বছর বয়সী হিদার হামফ্রিস পেয়েছেন ২৯.৫ শতাংশ ভোট। বিকেলেই পরাজয় স্বীকার করে হামফ্রিস বলেন, ক্যাথেরিন আমাদের সবার প্রেসিডেন্ট হবেন— তিনিই আমারও প্রেসিডেন্ট। আমি তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
নির্বাচনের আগে প্রকাশিত বিভিন্ন জরিপেই ইঙ্গিত ছিল কনোলি ভোটারদের মধ্যে ধারাবাহিক ও দৃঢ় সমর্থন পাচ্ছেন। তিনি ২০১৬ সাল থেকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করছেন এবং এর আগে আইনজীবী ছিলেন।
গাজার যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তার কঠোর সমালোচনা ও ফিলিস্তিনপন্থি অবস্থান তাকে আলোচনায় আনে। ফিয়ানা ফেইল, লেবার পার্টি ও সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটসসহ একাধিক বামপন্থি দলের সমর্থন পান তিনি।
তরুণ ভোটারদের মধ্যে তার প্রচারণা বিশেষভাবে সাড়া ফেলে কারণ তারা তার সামাজিক ন্যায়ের প্রতিশ্রুতি, জলবায়ু ইস্যুতে অবস্থান ও প্রগতিশীল নীতিকে সমর্থন জানায়।
উপপ্রধানমন্ত্রী ও ফাইন গেইল দলের নেতা সাইমন হ্যারিস কনোলিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তিনি আমাদের সবার প্রেসিডেন্ট হবেন।
কনোলি হবেন আয়ারল্যান্ডের দশম প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির ইতিহাসে তৃতীয় নারী প্রেসিডেন্ট, যিনি ২০১১ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা মাইকেল ডি হিগিনসের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

