ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না বাহারছড়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা জয়নাল

3 Min Read

কক্সবাজার অফিস:

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সেবা প্রার্থীদের দিনের পর দিন হয়রানির সাথে গুনতে হচ্ছে ঘুষের টাকা। ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী কর্মকতা জয়নাল আবেদীন যোগদানের পর থেকেই রামরাজত্ব চলছে এ অফিসে।

পদে পদে বাড়তি টাকা না দিলে কোনো সেবাই মিলছে না বাহারছড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। জানা যায়, খাস জমি দখলও কৃষি জমি কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ভরাট করার ফলেও তিনি নীরব ভূমিকা পালন করেন,নিরব ভুমিকা পালনে স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে বানিজ্য করার অভিযোগ করেন।

সব অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করা তার কাজ বলে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। অভিযোগ রয়েছে, অনলাইনে দাখিলা দিতে গেলে বিভিন্নভাবে অজুহাত দেখিয়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেয় উপ-সহকারী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন। আর জয়নালের সবচেয়ে বড় দুর্নীতির জায়গা হলো জমির মিউটেশন করা।

জমি ক্রয় করার পরে প্রত্যেক জমির মালিককেই বাধ্যতামূলক জমির রেকর্ড (মিউটিশন) করতে হয়। সরকারি ধার্যকে তোয়াক্কা না করে উপ-সহকারী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জমির মালিকদের বিভিন্নভাবে এটা-ওটা বুঝিয়ে হয়রানি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে বলে দশ হাজার থেকে লাখ টাকা চুক্তি করেন জমির মিউটিশনের জন্যে। তখন জমির মালিকগণ নিরুপায় হয়ে জয়নালের ফাঁদে পা দিয়ে হাজার বা লাখ টাকা গচ্চা দেয়।

আবার অনেক জমির মিউটিশনের জন্যে সঠিক কাগজপত্র না থাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বাদ দিয়ে দিলে জয়নাল জমির মালিকপক্ষ থেকে মিউটিশন করিয়ে দিবে বলে যে টাকা নেয় তা আর ফেরত না দিয়ে বিভিন্নভাবে ঘুরাতে থাকে। যদি কোনো জমির পার্টি একটু প্রভাবশালী হয় তাদের চুক্তির টাকা থেকে অর্ধেক টাকা ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

সঠিক কাগজপত্র ও ঘুষের চুক্তির টাকা দেয়ার পরও দুই থেকে ছয় মাস ও ঘুরায় জমির মালিকদেরকে বাহারছড়া উপ-সহকারী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন।ভুক্তভোগীরা জানান, বাহারছড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দুর্নীতি এমন চরমে পৌঁছেছে। সরকারি নীতিমালার বাইরে চুক্তি অনুযায়ী মোটা অঙ্কের ঘুষ ছাড়া কোনো নামজারি হয় না।

নামজারির জন্য ১০ হাজার থেকে মোটা অঙ্ক আদায় করা হয় উপজেলা ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন স্তরে ভাগ দেওয়ার কথা বলে।ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য যে, ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা জয়নালের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় দুর্নীতি ও নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২১ সালে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে আটক করেছিল।

- Advertisement -
newsnextbd20
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *