জিআই সনদ পেল আরও ২৪ পণ্য, মোট সংখ্যা ৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৪৩
জিআই সনদ পেল আরও ২৪ পণ্য, মোট সংখ্যা ৫৫

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান/নিউজনেক্সট

দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের তালিকা সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি এসব পণ্যের বাণিজ্যিক বিকাশ ও বাজারজাতকারীদের ন্যায্য স্বীকৃতি ও প্রাপ্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

তিনি বলেন,

  জিআই পণ্য শুধু বাণিজ্য নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক। স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের জন্য এসব পণ্যের যথাযথ স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সব অংশীজনের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনায় আরও অংশ নেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শিল্পসচিব মো. ওবায়দুর রহমান এবং মেধাসম্পদ ও সংগীত খাতের সংশ্লিষ্টরা।

সভায় সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন,

 গান আমাদের জাতিসত্তার অংশ। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা এই সংস্কৃতির স্বরূপকে রক্ষা করতে সংগীতের কপিরাইট সুরক্ষা ও নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি জানান, সঙ্গীত খাতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে, যা শিগগিরই দৃশ্যমান হবে।

শিল্প সচিব বলেন,

  যারা কোনো পণ্য তৈরি করে, বাজারজাত করে এবং গুণগত মান ধরে রাখে, তারাই জিআই সনদের উপযুক্ত দাবিদার। এসব পণ্য বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে।

২৪টি নতুন জিআই পণ্যের সনদ হস্তান্তর

অনুষ্ঠানে আরও ২৪টি পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়। এসব সনদ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও উৎপাদক সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর ফলে বাংলাদেশে জিআই স্বীকৃতি পাওয়া পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৫টি।

নতুনভাবে নিবন্ধন পাওয়া জিআই পণ্যসমূহ:

  • নরসিংদীর লটকন (৩২)

  • মধুপুরের আনারস (৩৩)

  • ভোলার মহিষের দুধের কাঁচাদই (৩৪)

  • মাগুরার হাজরাপুরী লিচু (৩৫)

  • সিরাজগঞ্জের গামছা (৩৬)

  • সিলেটের মনিপুরি শাড়ি (৩৭)

  • মিরপুরের কাতান শাড়ি (৩৮)

  • ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা (৩৯)

  • কুমিল্লার খাদি (৪০)

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি (৪১)

  • গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা (৪২)

  • সুন্দরবনের মধু (৪৩)

  • শেরপুরের ছানার পায়েস (৪৪)

  • সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি (৪৫)

  • গাজীপুরের কাঁঠাল (৪৬)

  • কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান (৪৭)

  • অষ্টগ্রামের পনির (৪৮)

  • বরিশালের আমড়া (৪৯)

  • কুমারখালীর বেডশিট (৫০)

  • দিনাজপুরের বেদানা লিচু (৫১)

  • মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর (৫২)

  • নওগাঁর নাকফজলি আম (৫৩)

  • টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ (৫৪)

  • ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলার বীজ ও গাছ (৫৫)

বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা (WIPO) ঘোষিত এবারের বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল “IP and music: Feel the beat of IP” – যার মূল লক্ষ্য ছিল সংগীতশিল্পীদের সৃজনশীলতা ও অধিকার সুরক্ষার মাধ্যমে মেধাসম্পদের মূল্যায়ন নিশ্চিত করা।