বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ১২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। আবেদনের তালিকায় রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং ও টেলিকম প্রতিষ্ঠানসহ আকিজ গ্রুপের নামও।
সোমবার (৩ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক–২২এমএফআই, থার্টি সিক্স ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট রবি, আমার ব্যাংক, অ্যাপ ব্যাংক ফার্মার্স, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক, বাংলালিঙ্ক অ্যান্ড স্কয়ার, মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক, আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক।
ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার দ্বিতীয় দফার আবেদনের শেষ সময় ছিল ২ নভেম্বর। এর আগে প্রথম দফার আবেদন জমা নেওয়া হয় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যথাযথ প্রস্তাবনা ও নথিপত্র না পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক সময় বাড়িয়ে ২ নভেম্বর পর্যন্ত করে। শেষ সময়ের আগেই জমা পড়ে ১২টি আবেদন।
২০২৩ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা প্রণয়ন করে। নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে ৩০০ কোটি টাকা। ব্যাংকটির কার্যক্রম পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন ২০১৪–এর আওতায়।
ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থাকলেও এর কোনো শাখা, উপশাখা, এটিএম, সিডিএম বা সিআরএম থাকবে না। সম্পূর্ণ অ্যাপ–নির্ভর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই সব সেবা দেওয়া হবে।
ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদন পেলে ২৪ ঘণ্টা লেনদেনের সুবিধা পাওয়া যাবে। গ্রাহকরা ভার্চ্যুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্যান্য প্রযুক্তি–নির্ভর পণ্য ব্যবহার করে লেনদেন করতে পারবেন। তবে প্লাস্টিক কার্ড দেওয়া হবে না। অন্য ব্যাংকের এটিএম ও এজেন্ট সেবা ব্যবহার করা যাবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংক বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না; শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের সুযোগ থাকবে। এছাড়া কোনো ঋণপত্র (এলসি) খোলার অনুমতিও থাকবে না।

