ছাত্রদলের হাতে ছাত্রলীগ কর্মী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া

By নাটোর প্রতিনিধি:

2 Min Read
ছবি ভিডিও থেকে ।

নাটোর শহরের কানাইখালি এলাকায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের হাতে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ভিডিওতে দেখা যায়, একজন তরুণকে অটোরিকশায় শুইয়ে রেখে তার পিঠের ওপর জুতা পায়ে দাঁড়িয়ে আছেন আরেক তরুণ। চারপাশে উচ্চস্বরে গান বাজানো হচ্ছে এবং নির্যাতিত তরুণ বারবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাকে ছেড়ে দিতে আকুতি জানাচ্ছেন।

ঘটনাটি রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ঘটেছে। নির্যাতনের শিকার তরুণের নাম ফয়সাল হোসেন (২৫)। তিনি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী এবং নাটোর শহরের কানাইখালি মহল্লার বাসিন্দা।

ফয়সালের ভাষ্য: ‘তুই ছাত্রলীগ করিস কেন’—এই ছিল অপরাধ

ফয়সাল জানান, ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে বাড়ি ফেরার সময় ছাত্রদলের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক রিমনসহ কয়েকজন হঠাৎ পেছন থেকে এসে তার ওপর হামলা চালান। সড়কের মাঝখানে ফেলে তাকে বেধড়ক মারধর করার পর একটি অটোরিকশায় তুলে শহরের বিভিন্ন সড়কে প্রায় দুই কিলোমিটার ঘোরানো হয়।

তিনি আরও জানান, মারধরের সময় ছাত্রদল কর্মীরা বলেন, “তুই ছাত্রলীগ করিস কেন?” এরপর ‘আর ছাত্রলীগ করব না’—এই মর্মে মুচলেকা নিয়ে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ছাত্রদল নেতাদের বক্তব্য: দায় অস্বীকার ও অতীত স্মরণ

ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতারা পলাতক। তবে তাঁদের নেতা নবাব সিরাজ–উদ–দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এস এম জুবায়ের বলেন,

ঘটনাটি আমার অজান্তে ঘটেছে। যারা ঘটিয়েছে, তারা সাধারণ ছাত্র। তবে ছাত্রলীগ যখন ক্ষমতায় ছিল, তারা এর চেয়েও ভয়াবহ নির্যাতন করেছে।

সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে নিন্দার ঝড় বইছে। মুজিব সেনা পরিচয় দেওয়া দস্তগির ইসলাম নামের এক তরুণ লিখেছেন, “এই বর্বরতা কি ভুলে যাব আমরা? কখনই না। বহু গুণে ফিরিয়ে দেব। নাটোরের মাটিতেই এই ঘটনার বিচার করব ইনশাআল্লাহ।”

- Advertisement -

অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন,

   এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

- Advertisement -
newsnextbd20
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *