পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ মাদরাসাছাত্র, থানায় জিডি

রোববার জেলার সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের বক্তার মুন্সি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা গেটে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় নিখোঁজ ওসমান গণির মা সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘আমার ছোট ছেলেকে আপনারা এনে দেন। আমি আমার ছেলের মুখটা দেখতে চাই।’ নিখোঁজ মো. ওসমান গনি (১৭) ওই উপজেলার বক্তার মুন্সি ফাজিল মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের আবুল আনসারের ছোট ছেলে।
ঘণ্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে এলাকার স্থানীয়, রাজনৈতিক, মাদ্রাসার শিক্ষক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেন।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিখোঁজ ওই শিবির নেতার বাবা আবুল আনসার, মা সুলতানা রাজিয়া, তার বড় ভাই এমরান হোসেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দাউদুল ইসলাম, সাবেক মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সদস্য বেলায়েত হোসেন, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আইয়ুব, সমাজ সেবক রিদওয়ান আহমাদ আরিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আকবর হোসাইন, সহপাঠী সারওয়ার জামিল বাপ্পি, মো. সাব্বির, শহীদুল ইসলাম শিবলু প্রমুখ।
নিখোঁজের বাবা আবুল আনসার বলেন, আমার ছেলে ১৬ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয়। ৫ দিনেও তাকে খুঁজে না পাওয়ায় আমরা হতাশ। আমরা তার সন্ধান চাই। আমি আমার ছেলেকে জীবিত অবস্থায় একবার দেখতে চাই।
বক্তার মুন্সি ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী বলেন, প্রায় ৫ দিন যাবত ওসমান গণি নামে আমাদের মাদ্রাসার একটি ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ১৬ এপ্রিল বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় আসার পথে নিখোঁজ হন। তাকে জীবিত এবং সুস্থ অবস্থায় ফেরত পেতে প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা চাই।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী নিখোঁজ ছাত্রের বড় ভাই মো. ইমরান বলেন, ৫ দিন যাবত আমার ছোট ভাই নিখোঁজ রয়েছে। তার সঙ্গে কারো কোনো বিরোধ নেই। আমার ভাই অত্যন্ত সহজ, সরল স্বভাবের ছিল। কোনো অশুভ শক্তি এ কাজ করে থাকতে পারে। এসময় বক্তারা নিখোঁজ ওসমানকে উদ্ধারে প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনাগাজী থানার ওসি বায়েজিদ আকন বলেন, মো. ওসমান গণি নিখোঁজের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তাকে উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
প্রসঙ্গত, ১৬ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় ওসমান গনী নিখোঁজের বিষয়ে তার বড় ভাই একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এছাড়া ওসমান গনি নিখোঁজের কিছুদিন আগেও একই ইউনিয়নের এক শিশু শিক্ষার্থী অপহরণ হয়েছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন