বাংলাদেশে পাঁচ মাস আগে যাত্রা শুরু করা ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের গ্রাহক সংখ্যা এখনও দুই হাজারের কম। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যমতে, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট গ্রাহক ছিলেন ১ হাজার ৮৬২, যার মধ্যে আবাসিক গ্রাহক ১ হাজার ২৫১ জন।
স্টারলিংক বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই প্রথম দেশ যেখানে তারা আনুষ্ঠানিক সেবা চালু করেছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে গ্রাহক সংখ্যা বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি; উদাহরণস্বরূপ, কেনিয়ায় ২০ মাসে ১৭ হাজার ৬৬ জন এবং নাইজেরিয়ায় ৫৯ হাজার ৫০০ জন গ্রাহক রয়েছে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম জানিয়েছে, স্টারলিংক যেসব সুবিধা দিচ্ছে, তার তুলনায় গ্রাহক সংখ্যা এখনও খুবই কম।
বর্তমানে স্টারলিংকের কালিয়াকৈর, যশোর ও রাজশাহীতে গেটওয়ে স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সৈয়দপুর, কক্সবাজার, সিলেট ও কুমিল্লায় নতুন গেটওয়ে স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে থেকে প্রতিষ্ঠানটি ৮০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ নিয়েছে, যার মধ্যে ৩০ জিবিপিএস বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, আইনানুগ নজরদারি ব্যবস্থার জন্য স্টারলিংক যে মনিটরিং টুল দিয়েছে, তা প্রত্যাশা অনুযায়ী কার্যকর হচ্ছে না। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ থেকে প্রতিবেশী দেশে ব্যান্ডউইডথ বিক্রি এবং বাণিজ্যিক সেবা চালুর অনুমতি চাচ্ছে, যা বর্তমানে দেশে কোনো গাইডলাইনে নেই।
গ্রাহক সংখ্যা সীমিত হলেও, স্টারলিংকের আগমন বাংলাদেশের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট খাতে নতুন অধ্যায় শুরু করেছে। তবে বাজার সম্ভাবনা কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা সময়ের ওপর নির্ভর করবে।

