আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানি সামরিক বিমান হামলায় কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকসহ তিনজন স্থানীয় ক্রিকেটার নিহত হয়েছেন। ঘটনাটিকে কাপুরুষোচিত ও অবৈধ হামলা বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আফগানিস্তান স্পোর্টস জার্নালিস্ট ফেডারেশন (এএসজেএফ)।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, পাকতিকা প্রদেশের আরগুন জেলাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়, যেখানে স্থানীয় ক্রিকেটাররাও প্রাণ হারান। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) নিহতদের পরিচয় জানিয়েছে— কবির, হারুন ও সেবঘাতুল্লাহ। তাঁরা স্থানীয় ক্লাবের সক্রিয় ক্রিকেটার ছিলেন এবং এলাকায় ক্রিকেট উন্নয়নে কাজ করতেন।
এএসজেএফ বিবৃতিতে বলে, গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা জেনেছি যে পাকিস্তানি সামরিক সরকার আরগুন জেলায় এক বিমান হামলা চালিয়ে ক্রিকেটারসহ নিরীহ আফগান নাগরিকদের লক্ষ্য করেছে। এই অমানবিক ও কাপুরুষোচিত হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও যুদ্ধনীতির চরম লঙ্ঘন— যা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জন্য লজ্জার।
সংগঠনটি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেছে, এই হামলা আফগান ক্রীড়াঙ্গনের জন্য অন্ধকার এক মুহূর্ত।
একই সঙ্গে এএসজেএফ আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) পাকিস্তানের বিপক্ষে নির্ধারিত টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে। “জাতীয় মর্যাদা ও প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের ক্রীড়া সম্পর্ক স্থগিত রাখার এসিবির সিদ্ধান্তকে আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন করি,”—বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হলেও ওই সন্ধ্যায় পাকতিকা প্রদেশে বিমান হামলায় সেই সমঝোতা ভেঙে যায়।
তিনজন পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও এক আফগান তালেবান সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যে দোহায় পৌঁছেছিল, আর আফগান প্রতিনিধিদল শনিবার পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই পাকিস্তানের বিমান হামলায় একাধিক বেসামরিক নাগরিক ও খেলোয়াড় নিহত হন।

