পাবনা জেলার ১৯৭তম জন্মদিন পালন

বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনসহ সবক'টি আন্দোলন সংগ্রামে পাবনা জেলার রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস।হোসিয়ারী শিল্প, তাঁত শিল্প, কাঁচি শিল্প, বেনারসি-কাতান সহ অন্যান্য শিল্প সমৃদ্ধ এই জেলা একসময়ে ছিল দেশের অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র।

By পাবনা প্রতিনিধি :

2 Min Read
পাবনা জেলার জন্মদিনের কেক কাটছেন অতিথিরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে। ছবি - নিউজনেক্সট।

আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ পাবনা জেলার ১৯৭ তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলার জন্মদিন উপলক্ষে পাবনা প্রেসক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

প্রেসক্লাব সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোফিজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান, শিক্ষাবিদ শিবজিত নাগ, সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুল রহমান, ক্লাবের সাধারন সম্পাদক জহুরুল ইসলামসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাংস্কৃতিক দলের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আলেচনা সভায় বক্তারা জেলার উন্নয়নে প্রয়াত বরেণ্য ব্যাক্তিদের অবদান ও তাদের স্মৃতিচারণ করেন। এক সময়ের বৃহত্তর পাবনা জেলা ভেঙে নাটোর, কুষ্টিয়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এখনো অনেক জেলার অবকাঠামোহত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পিছিয়ে রয়েছে পাবনা জেলা। তাই জেলার উন্নয়নে সবাইকে নিজ নিজ স্থান থেকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়। আলোচনা সভা শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে নিয়ে কেককেটে ও মিষ্টিমুখ করানো হয় সবাইকে।

উল্লেখ্য, পাবনা দেশের অন্যতম প্রাচীন জেলা। ১৮২৮ সালের ১৬ই অক্টোবর তৎকালীন বৃটিশ সরকারের ৩১২৪ নং স্মারকে পাবনাকে স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

পাবনা জেলার ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৭৯০ সালে বর্তমান পাবনা জেলার একটা বড় অংশ রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ওই সময় জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য ১৮২৮ সালে পাবনায় তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট মি. এ ডাব্লিউ মিল্সকে জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়।

এর চার বছর পর ১৮৩২ সালে জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেটের পরিবর্তে ডেপুটি কালেক্টর নিয়োগের মাধ্যমে পাবনা পূর্ণাঙ্গ জেলার মর্যাদা পায়। ১৮৫৫ সালে ময়মনসিংহ জেলা থেকে সিরাজগঞ্জ থানাকে পৃথক করে পাবনা জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনসহ সবক’টি আন্দোলন সংগ্রামে পাবনা জেলার রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস।

হোসিয়ারী শিল্প, তাঁত শিল্প, কাঁচি শিল্প, বেনারসি-কাতান সহ অন্যান্য শিল্প সমৃদ্ধ এই জেলা একসময়ে ছিল দেশের অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র। দেশ বরেণ্য কবি সাহিত্য গীতিকার গায়ক অভিনয় শিল্পির জন্ম হয়েছে পাবনা জেলাতে। কৃষি সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী এই জেলায় খাল বিল ও নদী রয়েছে। ধান, পাট, মাছ ও কৃষি ফসলে বেশ সমৃদ্ধ জেলা পাবনা।

newsnextbd20
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *