সিরাজগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে ষাঁড়

রাকিবুল ইসলাম রাকিব:
প্রকাশ: ১২ মে, ২০২৫, ৮:৪৩
সিরাজগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে ষাঁড়

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে দেশীয় ও প্রাকৃতিক উপায়ে ষাঁড়সহ বিভিন্ন গবাদিপশু মোটাতাজা করার কাজ চলছে পুরোদমে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রান্তিক ও খামারভিত্তিক খামারিরা কাঁচা ঘাস, খড়, ভুষি, ডালের গুঁড়া, ভাত ও খৈলসহ নানা ধরনের দানাদার খাদ্য খাইয়ে পশু মোটাতাজা করছেন।

সিরাজগঞ্জের সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়াসহ একাধিক উপজেলায় প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু করে সারাদিন গরুর যত্নে ব্যস্ত থাকেন খামারিরা। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতায় পশু মোটাতাজাকরণে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা পাচ্ছেন তারা।

খামারিরা জানান, প্রতিবছর ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও গাড়ল মোটাতাজা করা হয়। এখানকার পশু শুধু জেলার চাহিদা পূরণ করে না, দেশের অন্যান্য জেলাতেও সরবরাহ হয়।

তবে বিগত কয়েক বছরে পশু খাদ্যের দাম বৃদ্ধি এবং ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় অনেক খামারি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেকেই খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।

স্থানীয় খামারি আব্দুস সালাম বলেন, “গো-খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তাই গরুর দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। তবে ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ থাকলে কিছুটা হলেও লাভবান হতে পারব।”

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম আনোয়ারুল হক জানান, “খামারিদেরকে প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে পশু মোটাতাজাকরণে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এ বছর সিরাজগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার গরু, ৩ লাখ ৯৯ হাজার ছাগল, ৪ হাজার মহিষ ও ৬৭ হাজার ভেড়াসহ প্রায় সাড়ে ৬ লাখ গবাদিপশু। এসব পশুর সম্ভাব্য বাজারমূল্য প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার বেশি।