আলোচনা ছাড়া জুলাই সনদের খসড়া প্রকাশ অনাকাঙ্ক্ষিত : এনসিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ২৯ জুলাই, ২০২৫, ১২:৩২
আলোচনা ছাড়া জুলাই সনদের খসড়া প্রকাশ অনাকাঙ্ক্ষিত : এনসিপি

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদের খসড়া হঠাৎ প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা না করে নেওয়ায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসিন বলেছেন, ‘আমরা এটি কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। আলোচনা প্রক্রিয়া ছাড়া এ ধরনের খসড়া প্রকাশ গ্রহণযোগ্য নয়।’

মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের ২১তম দিনের সংলাপের বিরতির সময় এনসিপির এই অবস্থান তুলে ধরেন তিনি।

জাভেদ রাসিন বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করেছি, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নির্বাচনের আগে অবশ্যই আইনগত ভিত্তি পেতে হবে এবং সেই ভিত্তিতেই পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কমিশন ছয়টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করলেও সেগুলো নিয়ে আলোচনা না করে হঠাৎ করেই খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে, যা সঠিক প্রক্রিয়া নয়। একতরফাভাবে চাপানো যাবে না।’

এনসিপির এই নেতা জানান, দলটি মৌখিকভাবে তাদের অবস্থান জানিয়েছে এবং প্রয়োজন হলে লিখিতভাবেও জানানো হবে।

গত সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ওই খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে হস্তান্তর করেছিল। এতে সুপারিশ বা সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য হলে দুই বছরের মধ্যে সেগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

বহুল আলোচিত ‘জুলাই সনদ ২০২৫’-এর খসড়ায় কী আছে

খসড়ায় সাতটি প্রধান বিষয়কে ‘অঙ্গীকারনামায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চূড়ান্ত হলে এতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও রাজনৈতিক নেতাদের স্বাক্ষর থাকবে।

জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায় কমিশনের গঠন, কার্যক্রম এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসা সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংযোজন করা হয়েছে।

এনসিপি ‘র‍্যাংক চয়েস ভোটিং’ পদ্ধতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে এবং বিচার বিভাগ থেকে দুই সদস্য যুক্ত করে সাত সদস্যের একটি ভোটদান কমিটি গঠনের প্রস্তাবে একমত হয়েছে। যদিও বিএনপি ও কয়েকটি সহযোগী দল এ বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছে।

জাভেদ রাসিন আরও বলেন, ‘আমাদের ফোরামে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে খসড়ায় সই করা হবে কি না। আমাদের স্পষ্ট অবস্থান হলো, আলোচনা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’