এনবিআরের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

ফাইল ছবি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, কর ফাঁকির সুযোগ দেওয়া এবং করদাতাদের হয়রানির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে, তাঁরা হলেন এনবিআরের সদস্য লুৎফুল আজীম, ভ্যাটের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) অতিরিক্ত কমিশনার আবদুর রশীদ মিয়া, কর গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, কর অঞ্চল–১৬-এর উপকর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম এবং এনবিআরের যুগ্ম কমিশনার তারেক হাসান।
দুদক জানায়, দায়িত্ব পালনের সময় এ কর্মকর্তারা কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকির সুযোগ দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে কর আদায়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ঘুষের বিনিময়ে কর কমিয়ে দেন কিংবা ফাঁকির সুযোগ তৈরি করেন। এতে সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার ঘুষ না দিলে করদাতাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিও করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া কর ফেরতের ক্ষেত্রেও অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। আগাম কর প্রদান বা অতিরিক্ত কর দেওয়ার পর তা ফেরত পেতে গিয়ে করদাতাদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয়। এসব ঘুষের টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুদকের অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, এনবিআরের কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর খাতে দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব বিষয়ে সমন্বিত অনুসন্ধান চলছে।
আপনার মতামত লিখুন