কাপ্তাই হ্রদের পানিতে প্লাবিত নিচু এলাকা, ভেদভেদী সড়কে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ছে। এর ফলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার নিম্নাঞ্চল।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির কারণে রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি-ভেদভেদী সংযোগ সড়কে ৩ টনের বেশি ওজনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এলজিইডির রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী আহামদ শফি জানান, “হ্রদের পানি ওই সড়কের একটি অংশে ঝুঁকি তৈরি করেছে। ভারী যানবাহন চললে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই আপাতত ৩ মেট্রিক টনের বেশি ভার বহনকারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।”
এদিকে, বাঘাইছড়ি উপজেলায় টানা বৃষ্টিতে পৌর শহরসহ আশপাশের এলাকার বহু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বুধবার সকাল থেকে মাস্টারপাড়া, মুসলিম ব্লক, হাজীপাড়া, এফ ব্লক, মাধ্যমপাড়া, কলেজপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্লাবনের মাত্রা তীব্র হয়। বেশ কয়েকটি ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে।
পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলা সদর-বাবুপাড়া, মাস্টারপাড়া, বটতলী-উগলছড়ি, করেঙ্গাতলী ও দূরছড়ি সড়কের একাধিক অংশ। এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সাজেকের মাচালং বাজার এলাকায় পানি ওঠায় সাজেকের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অনেক পর্যটক ভেলায় কিংবা নৌকায় করে তলিয়ে যাওয়া রাস্তা পার হয়ে সাজেক ত্যাগ করেন। বুধবার সকাল থেকে সড়কে পানি কমে গেলে আটকে পড়া পর্যটকরা সাজেক ছেড়ে যেতে সক্ষম হন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, “উপজেলার নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে, কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি। পাঁচটি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, যদিও এখনো কেউ সেখানে আশ্রয় নেয়নি।”
উপজেলা প্রশাসন স্থানীয়দের সর্তক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
আপনার মতামত লিখুন