কুবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা, স্বৈরাচারী আচরণ বললেন উপ-উপাচার্য

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (৩ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
এই ঘটনাকে “স্বৈরাচারী আচরণ” বলে আখ্যা দিয়েছেন কুবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল। তিনি বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবিকে যৌক্তিক মনে করলেও, প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া এক ধরনের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আন্দোলনের একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি রয়েছে। সেটি না মেনে তারা যে পথ বেছে নিয়েছে, তা স্বাধীনতা-পরবর্তী স্বৈরাচারী সময়ের ছাত্র সংগঠনের আচরণের মতোই।”
দীর্ঘদিনের শিক্ষক সংকট
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষক সংকটে ভুগছে শিক্ষার্থীরা। পাঠদান কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর আগে তারা মানববন্ধন, বিভাগের কক্ষে তালা দেওয়া এবং স্মারকলিপি প্রদানের মতো কর্মসূচি পালন করেছে।
চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হুদা শাওন বলেন, “গত চার মাস ধরে আমরা শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছি। সর্বশেষ ২১ জুলাই ভিসি স্যার আশ্বাস দিয়েছিলেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইউজিসি থেকে সার্কুলার আসবে। কিন্তু আজ ৩ আগস্ট—এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়েই প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছি।”
শিক্ষার্থীরা দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও সময়সীমা নির্ধারণের দাবি জানিয়ে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
তাদের অভিযোগ, প্রশাসন একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তব কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই এবার তারা চাপ প্রয়োগের মাধ্যম হিসেবে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াবেন না।
আপনার মতামত লিখুন