বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে তারা আর সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি করবে না। এছাড়া গ্রাহকদের ছেঁড়া বা নষ্ট নোট বদল, সরকারি চালান গ্রহণ এবং চালানের ভাংতি টাকা প্রদানসহ অন্যান্য সরাসরি কাউন্টার সেবা বন্ধ করা হবে। প্রথমে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে, পরে ধীরে ধীরে অন্যান্য শাখাতেও এই সেবা বন্ধ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাখ্যা দিয়েছে, এসব সেবা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নির্বিঘ্নে করতে পারে, সে জন্য তাদের তদারকি আরও জোরদার করা হচ্ছে। বড় অঙ্কের বিনিয়োগ থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তা ও নীতিগত কারণে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরাসরি বাণিজ্যিক সেবা দেওয়া উচিত নয়, কারণ এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়। তবে এসব সেবা বন্ধের ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকে গ্রাহকের সমস্যা না বাড়ে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বিশ্বের কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সরাসরি কাউন্টার সেবা দেয় না। গ্রাহকসেবা বন্ধ হলেও ইএফটিএন ব্যবস্থার মাধ্যমে সঞ্চয়পত্রের সুদ ও মূল পরিশোধসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

