কোরবানির ঈদ: গরুর চামড়ায় প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ২৫ মে, ২০২৫, ১১:১৮
কোরবানির ঈদ: গরুর চামড়ায় প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা বৃদ্ধি

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এবার গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা এবং ছাগলের চামড়ার দাম ২ টাকা বেড়েছে। রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

ঘোষণা অনুযায়ী, ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। ঢাকার বাইরে গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, যেখানে গত বছর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

সারা দেশে খাসির লবণযুক্ত চামড়া প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ২০ থেকে ২২ টাকা দরে কিনবে ট্যানারি মালিকেরা। গত বছর এই দাম ছিল যথাক্রমে ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং ১৮ থেকে ২০ টাকা।

এ বছর গরুর চামড়ার সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকায় একটি ছোট গরুর লবণযুক্ত চামড়ার সর্বনিম্ন দাম হবে ১,৩৫০ টাকা, আর ঢাকার বাইরে হবে ১,১৫০ টাকা। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এর চেয়ে কম দামে চামড়া বিক্রি না করতে আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি। সরকার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সবধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি জানান, ঈদের পর অন্তত ১৫ দিন চামড়া স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় চামড়া সংরক্ষণ, হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা এবং তিন মাসের জন্য কাঁচা ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির শর্ত শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় ১০ দিনের আগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, তড়িঘড়ি করে চামড়া বিক্রি না করে সংরক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে। কোরবানির সময় সুষ্ঠু চামড়া ব্যবস্থাপনা ও পরিবহনে সহযোগিতার জন্য ৯৯৯ হেল্পলাইন চালু থাকবে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিশেষ কন্ট্রোল সেলও খোলা হবে।

বাংলাদেশে সারা বছর যে পরিমাণ পশু জবাই হয়, তার অর্ধেকই হয়ে থাকে কোরবানির মৌসুমে। তখন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কোরবানিদাতাদের কাছ থেকে চামড়া কিনে তা পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। পাইকাররা লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে পরে সেগুলো বিক্রি করেন ট্যানারিগুলোতে। এই বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিবছরই দাম নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।