জাতীয় অন্ধ সংস্থার ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশ

দীর্ঘ ৭০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় অন্ধ সংস্থার বিরুদ্ধে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর ২০২১ সালে আবেদন করা হলেও দীর্ঘ সময়েও কার্যকর কোনো তদন্ত হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০২১ সালের ৩১ মে সংস্থার সাবেক সভাপতি ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী প্রতিনিধি মিনহাজ উদ্দিন দুদকে লিখিত অভিযোগে জানান, তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আয়ুব আলী সাভার পৌরসভার অন্ধ মার্কেটের দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দোকান ভাড়ার অর্থ সংস্থার তহবিলে জমা না দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করারও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি সংস্থার নাম পরিবর্তন করে “জাতীয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সংস্থা” রাখার প্রক্রিয়াতেও স্বচ্ছতা ছিল না বলে দাবি করা হয়।
দুদক অভিযোগ অনুসন্ধানে অনীহা দেখানোয় মিনহাজ উদ্দিন ২০২৪ সালে হাইকোর্টে একটি রিট (নং-১৫০১৭/২০২৪) দায়ের করেন। এতে আদালত ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ব্যবস্থা নিতে দুদককে নির্দেশ দেয়। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। এমনকি হাইকোর্টের আদেশ পাঠানোর পর গত ২৫ মার্চ দুদক চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে অবহিত করা হলেও কোনো জবাব মেলেনি বলে দাবি করেন মিনহাজ উদ্দিন।
তিনি বলেন, গত চার বছরে দুর্নীতির পরিমাণ একশ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। সংস্থার শতাধিক সদস্য মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এখনই তদন্ত না হলে এই দুর্নীতি চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
সংস্থাটির দুর্নীতি তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের স্বার্থ রক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আপনার মতামত লিখুন