ঢাকায় বড় সমাবেশের প্রস্তুতি শেষ করেছে জামায়াতে ইসলামী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৫:৪০
ঢাকায় বড় সমাবেশের প্রস্তুতি শেষ করেছে জামায়াতে ইসলামী

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকায় বড় পরিসরে ‘জাতীয় সমাবেশ’ করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সাত দফা দাবি তুলে ধরবে দলটি।

শুক্রবার সমাবেশস্থলে প্রস্তুতি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তিনি বলেন, এই সমাবেশ নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠবে।

তিনি জানান, স্থল, নৌ ও রেলপথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন শুক্রবার রাত থেকেই ঢাকায় আসা শুরু করবে।

সমাবেশ থেকে দলটির জাতীয় নেতারা সাত দফা ছাড়াও অতিরিক্ত কিছু দাবিও তুলে ধরবেন। সাত দফার মধ্যে রয়েছে—লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, সব গণহত্যার বিচার, মৌলিক রাজনৈতিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন, অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।

একইসঙ্গে তিনি জানান, ঐক্যমত্য কমিশনে জামায়াত অংশ নিলেও সব বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

তাই সরকার, প্রশাসন এবং জনগণের কাছে তাদের বার্তা পৌঁছাতে এই সমাবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশ নেব। তবে তার আগে অবশ্যই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে সম্ভাব্য যানজট ও জনদুর্ভোগের জন্য অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করে গোলাম পরওয়ার বলেন, লাখো মানুষের ঢাকায় আগমন ঘটবে। কিছু যানজট হতে পারে। আমরা রাজধানীবাসী ও দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। এই কষ্ট দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে।

সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি জানান, মঞ্চের পেছনে অতিথিদের জন্য গ্রিনরুম, মাঠে ত্রিপল বিছানো, মঞ্চে ৩০০ চেয়ারের পাশাপাশি সামনে আরও ৬০০ চেয়ার, ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন এবং বাইরে ৩০০টির বেশি মাইক স্থাপন করা হচ্ছে।

এছাড়া ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বৈঠক করেছেন বলে জানান তিনি।

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায়ও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে আগত বাসের নির্দিষ্ট ড্রপিং পয়েন্ট ও সেখানে স্বেচ্ছাসেবক রাখার কথাও উল্লেখ করেন গোলাম পরওয়ার।