পটুয়াখালীর কোরবানির হাটে এখনো জমেনি বেচাকেনা, অপেক্ষায় বিক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ৩ জুন, ২০২৫, ৫:৩২
পটুয়াখালীর কোরবানির হাটে এখনো জমেনি বেচাকেনা, অপেক্ষায় বিক্রেতারা

পটুয়াখালীর কোরবানির হাটে এখনো জমে ওঠেনি বেচাকেনা। সময় যতই গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে পশুর আমদানি, কিন্তু এখনো ক্রেতারা অপেক্ষায়। হাটে দেশীয় খামার থেকে আনা বড় আকৃতির গরুর সরবরাহ চোখে পড়ার মতো হলেও, কেনাবেচা তেমন জমেনি।

শহরের অনেক ক্রেতা পশু রাখার জায়গার সংকটে এখনও পশু কেনায় সময় নিচ্ছেন। তবে বাজারে ভারতীয় গরু এখনও দেখা যায়নি, যা অনেকের নজর কেড়েছে।

গলাচিপার পুরান লঞ্চঘাট পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর গরু, ছাগল ও ভেড়ার আমদানি হলেও কেনাবেচা আশানুরূপ নয়। হাটে একটি গরু ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাঁকা হলেও তা মাত্র ১ লাখ ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, গতবারের তুলনায় দাম কম থাকায় তারা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে চান ভালো দামের আশায়।

ক্রেতারাও বলছেন, এখনই কেনার চেয়ে পশু দেখা ও বাজার যাচাই করাই তাদের মূল লক্ষ্য। অনেকেই মনে করছেন, ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসবে, কেনাবেচা ততই বাড়বে।

হাট ইজারাদাররা আশাবাদী— সময় আছে, সামনে হাট আরও জমবে। এখানে পশু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিক্রি হয়, ফলে ক্রেতাদের আস্থা বাড়বে।

গলাচিপা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সজল দাস জানান, বর্তমানে বিদেশ থেকে গরু আমদানির প্রয়োজন নেই। দেশেই চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত পশু উৎপাদন হচ্ছে।

সব মিলিয়ে পটুয়াখালীর হাটগুলোতে এখনো চলছে অপেক্ষা আর দাম যাচাইয়ের খেলা। তবে সময় ঘনালেই জমে উঠবে কেনাবেচা— এমনটাই আশা করছেন বিক্রেতা ও ক্রেতারা দু’পক্ষই।