ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে কানাডা, ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিরূপ প্রতিক্রিয়া

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশ: ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৫:৫৫
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে কানাডা, ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিরূপ প্রতিক্রিয়া

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।

সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কানাডা। বুধবার (৩০ জুলাই) এই ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। গাজায় যখন দুর্ভিক্ষের মতো মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তখন এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়িয়েছে।

এর আগে ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যও জানায়, তারা সেপ্টেম্বরের সাধারণ অধিবেশনের সময় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করছে। যুক্তরাজ্য স্পষ্ট করে বলেছে, গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে তারা সেপ্টেম্বরে স্বীকৃতি দেবে।

প্রধানমন্ত্রী কার্নি সাংবাদিকদের বলেন, গাজার মাটিতে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের অর্থ হলো, আমাদের চোখের সামনেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি সরকার গাজায় সংকট বাড়তে দিয়েছে, এটি আমরা দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাই।

কার্নি জানান, স্বীকৃতির সিদ্ধান্তটি এসেছে জাতিসংঘে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে—যেখানে তারা ২০২৬ সালের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন এবং শাসনব্যবস্থার সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছে। সেই নির্বাচনে ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস অংশ নিতে পারবে না বলেও উল্লেখ করা হয়।

গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্যে কঠোর অবরোধ আরোপ করা হয়েছে, যার ফলে খাদ্য ও ত্রাণ প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এবং অঞ্চলটিতে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য, পশ্চিমা বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

এ প্রেক্ষাপটে কানাডাসহ ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ কিছু মিত্র দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে—যা আন্তর্জাতিক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই দেখছে বিশ্লেষকরা।

তবে কানাডার এই অবস্থানকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই সিদ্ধান্ত হামাসের জন্য এক প্রকার পুরস্কার, যা গাজায় অস্ত্রবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির প্রচেষ্টা ব্যাহত করবে।”

এ নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে, হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট  ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তকে হামাসকে ভুল বার্তা দেওয়ার শামিল হিসেবে দেখছেন।