বড় ব্যবধানে হেরে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে ৩৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচে টিকে থাকতে পারেনি সফরকারী দল।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে ২০১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। জবাবে বাংলাদেশ ১৯.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে থামে ১৬৪ রানে।
ভালো শুরু, এরপর তাসের ঘরের মতো পতন
ম্যাচে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে ওপেনার সাঈম আইয়ুবকে শূন্য রানে ফেরান শেখ মাহেদী। পরের ওভারে ফখর জামানকেও তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হারিস (১৮ বলে ৩১) ও অধিনায়ক সালমান আঘা (৩৪ বলে ৫৬) গড়ে তোলেন ৪৮ রানের জুটি, যা পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরায়।
শেষ দিকে ঝড়ো ইনিংস খেলেন হাসান নওয়াজ (২২ বলে ৪৪) ও শাদাব খান (২৫ বলে ৪৮)। তাদের ব্যাটে ভর করে স্কোরবোর্ডে দুই শতকের কোটা পার করে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল নেন ২ উইকেট। মাহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, তানজিম সাকিব, রিশাদ হোসেন ও শামীম পাটোয়ারি নেন একটি করে উইকেট।
লিটনের লড়াই, জাকেরের ঝলক—তবুও ব্যর্থতা
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ওপেনার পারভেজ ইমন ফেরেন মাত্র ৪ রানে। তবে আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম খেলেন ১৭ বলে ৩১ রানের ইনিংস। তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে খানিকটা আশা জাগান তিনি।
এরপর অধিনায়ক লিটন দাস করেন ৩০ বলে ৪৮ রান। তিনটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকানো এই ইনিংসে একসময় ম্যাচে ফিরতে দেখা যায় বাংলাদেশকে। তবে লিটনের বিদায়ের পর শুরু হয় উইকেট পতনের মিছিল। হৃদয় করেন ১৭, শামীম ও রিশাদ ফেরেন ৪ রান করে।
শেষদিকে জাকের আলী কিছুটা লড়াই করেন। ২১ বলে তিনটি ছক্কা ও একটি চারে ৩৬ রান করেন তিনি। কিন্তু দলের পরাজয় ঠেকাতে তা যথেষ্ট ছিল না।
পাকিস্তানের পেসার হাসান আলী ম্যাচে ছিলেন অনন্য। ৩.২ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন। শাদাব খানও বল হাতে কার্যকর ছিলেন, ৪ ওভারে ২৬ রানে শিকার করেন ২ উইকেট।
এই হারে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল বাংলাদেশ।
আপনার মতামত লিখুন