বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের আয়-লভ্যাংশে টানা প্রবৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ২১ মে, ২০২৫, ৫:৫৪
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের আয়-লভ্যাংশে টানা প্রবৃদ্ধি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) চলতি ২০২৪-২৫ হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৫ প্রান্তিকে বিএসসির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৯৫ পয়সা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৪৭ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৪৮ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক (জুলাই ২০২৪ – মার্চ ২০২৫) মিলিয়ে কোম্পানিটির মোট ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১১ টাকা ৫ পয়সা। এতে ইপিএস বেড়েছে ৩ টাকা ৩৩ পয়সা।

২০২৫ সালের ৩১ মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৮ টাকা ৪৯ পয়সা, যেখানে ২০২৪ সালের ৩০ জুনে ছিল ১০১ টাকা ৯৭ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৯ টাকা ৫৮ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১৫ টাকা ৮৪ পয়সা।

এর আগে ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বিএসসির ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৫২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২৯ পয়সা। প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ইপিএস দাঁড়ায় ৯ টাকা ৩৫ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল ৬ টাকা ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ২ টাকা ৭৬ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়ায় ২০ টাকা ১০ পয়সা।

ডিএসই তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বিএসসির শেয়ারদর ১ টাকা ১২ পয়সা বা ১ দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে লেনদেন শেষ হয় ৯০ টাকা ২০ পয়সায়। দিনজুড়ে সর্বনিম্ন দর ছিল ৮৯ টাকা ৭০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ৯১ টাকা ৮০ পয়সা। এদিন কোম্পানিটির ১১ লাখ ৪৬ হাজার ১১২টি শেয়ার মোট ২ হাজার ৪৭১ বার লেনদেন হয়, যার বাজার মূল্য ছিল ১০ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গত এক বছরে বিএসসির শেয়ারদর ওঠানামা করেছে ৫৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১১১ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত।

২০২৩-২৪ হিসাববছরের জন্য পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ সময় কোম্পানির ইপিএস ছিল ১৬ টাকা ৬৭ পয়সা, এনএভি ১০১ টাকা ৯৭ পয়সা, এবং নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ৩১ টাকা ৮ পয়সা।

আগের বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ হিসাববছরেও বিএসসি ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, তখন ইপিএস ছিল ১৬ টাকা ১৫ পয়সা, এনএভি ৮৬ টাকা ৬৭ পয়সা, ও নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ২২ টাকা ৬২ পয়সা।

আরও আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। সে সময় ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ৮০ পয়সা, এনএভিপিএস ৭২ টাকা ৫২ পয়সা, এবং নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ২৩ টাকা ৮৭ পয়সা।

‘এ ক্যাটাগরির’ এই কোম্পানিটি ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ১৫২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, এবং রিজার্ভ রয়েছে ৯৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। বিএসসির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৫ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৪০টি, যার মধ্যে ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ সরকারি, ২১ দশমিক ৩৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, এবং ২৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।