বানারীপাড়ায় ফিল্মি কায়দায় অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়

অভিযুক্ত সাইদ, ছবি - সংগৃহীত।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় ফিল্মি কায়দায় অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার, ৬ জুন দুপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সলিয়া বাকপুর এলাকার বাসিন্দা সাইদ নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে বাজারের ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত।
এক সময় সাইদ ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুম শেরওয়ানীর দেহরক্ষী। এরপর রাজনৈতিক পালাবদলে সুবিধাবাদী পরিচয়ে তিনি বিএনপির স্থানীয় ওয়ার্ড নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বর্তমানে তিনি নিজেকে প্রেসক্লাবের সদস্য বলেও দাবি করছেন, যা স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও বিব্রতির জন্ম দিয়েছে।
৬ জুন কুরবানির ঈদের আগের দিন দুপুরে সাইদ সলিয়া বাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. রফিকুল ইসলামকে মোটরসাইকেলে করে ফিল্মি কায়দায় অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর তাকে মুক্তি দিতে ৫৭ হাজার টাকা নগদ এবং তার স্ত্রীর স্বাক্ষর করা একটি ব্ল্যাংক চেক আদায় করেন সাইদ। এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
সলিয়া বাকপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লতিফ সরদার ও সাধারণ সম্পাদক বশির কাজী বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, সাইদের অপহরণ ও অর্থ আদায়ের ঘটনা সত্য। এ নিয়ে তারা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন এবং দ্রুত তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সাইদ পলাতক রয়েছেন। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন একাধিক অপকর্মে জড়িত, চাঁদাবাজি ও অপহরণের মতো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সাইদের পেছনে আসলে কারা? কী তার খুঁটির জোর?
স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নিকট সাইদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আপনার মতামত লিখুন