বেবিচকের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পণ্য পাচারে সহযোগিতার অভিযোগ

ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে বেবিচকের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পণ্য পাচারে সহযোগিতার অভিযোগ, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে যাত্রীকে পণ্য পাচারে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন বেবিচকের পরিচালক (এভসেক পলিসি অ্যান্ড সার্টিফিকেশন) ইফতেখার জাহান হোসেন।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. রাগিব সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে পণ্য পাচারকারী যাত্রীকে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চীনের গুয়াংজু থেকে ঢাকায় আসেন মোহাম্মদ নেওয়াজ ও মাহমুদুল হাসান নামের দুই যাত্রী। অভিযোগ, বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজ থেকে স্ক্যানিং এড়িয়ে তারা ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন আব্দুল লতিফ, যিনি এই পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দারা ওই যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশি করে মোট ২৩৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করেন। এসবের মধ্যে ছিল ৩১টি স্যামসাং, ১৫৭টি আইফোন এবং ৫০টি গুগল পিক্সেল ব্র্যান্ডের মোবাইল।
কাস্টমস গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তা জানান, দুই যাত্রীর কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইলের চালান আটকে রাখা হয়েছে, তবে তাদের ব্যক্তিগতভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বেবিচক কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, আমি পরিস্থিতির শিকার। এ বিষয়ে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলায় আমার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।” তিনি আরও জানান, “চীন থেকে আসা ওই দুই যাত্রী আমার পূর্বপরিচিত। তাদের কাছে বিমানবন্দরের পাস ছিল, যা ইতোমধ্যে জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ।
আপনার মতামত লিখুন