মাতামুহুরি নদীর তীরে পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরও দুজন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশ: ১২ জুন, ২০২৫, ১২:৫৫
মাতামুহুরি নদীর তীরে পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরও দুজন

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার মাতামুহুরি নদীর তীরে এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরও দুইজন পর্যটক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার ভোরে আলীকদম সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাজারপাড়ায় তাহের মল্লিকের জমির পাশে নদীতীরে মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত পর্যটকের নাম শেখ জুবাইরুল ইসলাম (৩৫)। তিনি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ধলইতলা পাঁচুড়িয়া গ্রামের শেখ হিদায়েতুল ইসলামের ছেলে।

আলীকদম থানার এসআই শাহাদাৎ হোসাইন বলেন, “গত দুদিন ধরে নদীর উজানে বিপুলসংখ্যক পর্যটক অবস্থান করছিলেন। পাহাড়ে ভারি বৃষ্টির কারণে নদীতে হঠাৎ বড় ঢল নামে। হয়তো সেই ঢলের সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তারা।”
তিনি আরও বলেন, “মরদেহের পরনে কোনো পোশাক ছিল না, শুধু দুই পায়ে অ্যাংলেট ছিল। নদীতীরে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে।”

তিনি জানান, আরও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। “শুনেছি, দুর্ঘটনার সময় কাছাকাছি আরেকটি পর্যটক দল ছিল। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।”

আলীকদম থানার ওসি মির্জা জহির উদ্দিন বলেন, “৯ জুন ৩৩ জন পর্যটকের একটি দল দুইজন গাইড নিয়ে আলীকদম-থানচি সড়কের মাঝামাঝি অবস্থিত ক্রিস্টং পাহাড়ে ভ্রমণে যায়। নিহত ব্যক্তি ওই দলের সদস্য ছিলেন।”

উদ্ধার করা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মোমিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে তাঁর ফেইসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়েছে, “একজন মানুষের জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই। নিরাপদ পর্যটনের স্বার্থে প্রতিটি পর্যটক দলের প্রতি ১২ জনের জন্য একজন গাইড রাখা এবং উপজেলা প্রশাসনের তথ্য সহায়তা বুথে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।”

পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, “কিছু অসাধু ব্যক্তি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও অনুমতি ছাড়াই পর্যটকদের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নিয়ে যান। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা রোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে জনসাধারণের পরামর্শও চাওয়া হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে।