মাদকে কাসফিয়ার মাদকতা, অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে নানা গুঞ্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:০১
মাদকে কাসফিয়ার মাদকতা, অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে নানা গুঞ্জন

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাসফিয়া আলম সহকারি পরিচালক গোয়েন্দা বর্তমানে মহাপরিচালক হাসান মারুফের সুদৃষ্টিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েছেন সহকারী পরিচালক প্রশাসন হিসেবে। ২০২৪ শের ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সপরিবারে পালিয়ে গেলেও রয়ে গেছেন তার অনুসারীরা।

এটা যারা এখনো বিশ্বাস করেন শেখ হাসিনা আবারও দেশে ফিরে নেতৃত্ব দিবেন কাশফিয়া আলম তাদেরই একজন। ২০২১শে কাসফিয়া আলম চাকরিতে যোগদান করেন। যোগদানের পর মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন, অতিরিক্ত পরিচালক আজিজুল ইসলামের সহযোগিতায় এবং পরিচালক প্রশাসন কাজী আবেদ হোসেনের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তোলেন।

তিনি পরিচালক প্রশাসন আবেদ হোসেনের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সহযোগিতায় তিন বছরে ট্রেনিং এর নামে ভ্রমণ করেছেন জাপান, থাইল্যান্ড, নয়াদিল্লী, শ্রীলংকা সহ মোট ৭টি দেশে। তথ্য অনুসন্ধান কালে জানা যায়, যারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ২০-২৫ বছর সার্ভিস করেছেন তারাও ৭-বার বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেননি।

কাসফিয়া কিভাবে তিন বছরে ৭-বার ট্রেনিং এর সুযোগ পেল তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা উচিত এবং এই অনিয়মের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার করা উচিত যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের অপকর্মে না জড়াতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন,কিভাবে সম্ভব নতুন একজন কর্মকর্তা তিন বছরে ৭-বার ভ্রমণ করে।ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা আরও বলেন আমরা যদি মেয়ে হতাম,কাজী আবেদের মতো চরিত্রহীন, ঘুষখোর ,দুর্নীতিবাজ লোকদের সাথে সম্পর্ক থাকতো। তিন মাসে ১০ বার বিদেশ ভ্রমণ করতে পারতাম।

কাশফীয়া আলম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে গঠিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের ৪-টি কমিটিতেই তিনি ছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে। বঙ্গবন্ধু পরিষদের বেপরোয়া প্রভাব খাটিয়ে অনেক অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছেন তিনি।

কাশফিয়ার মত সুবিধাভোগী স্বৈরাচারের দোসরদের বিচার চান গণআন্দলোনে নিহত ও আহত ছাত্র-জনতার একাধিক পরিবার। এত কিছুর পরও কাশফিয়া আলমের ডিমশন না হয়ে বর্তমান মহাপরিচালক হাসান মারুফের সুদৃষ্টির কারণে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েছেন এডি এডমিন যা কোনভাবেই কাম্য নয়। স্বৈরাচারের দোসররা একাধিক সুবিধা পাওয়ায় নিন্দার ঝড় বইছে খোদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের।

বর্তমান মহাপরিচালকের আধিপত্য বিস্তারের কারণে অনেকেই মুখ খুলতে নারাজ। ৭বার বিদেশ ভ্রমণ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাধিকবার দায়িত্ব পালন, বর্তমানে এডি এডমিন অতিরিক্ত দায়িত্বে গ্রহণের বিষয়ে একাধিকবার মোঠফোনে সরকারি নাম্বারে চেষ্টা করেও কাশফিয়া আলমের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

আলোচিত সমালোচিত ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনারা জাতির বিবেক সত্য তুলে ধরেন আমরা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেব আপনাদেরকে কেউ বাধা দিলে আমি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিব।