মুরাদনগরে আসিফ ও কায়কোবাদ অনুসারীদের সংঘর্ষে আহত ৬৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ৩০ জুলাই, ২০২৫, ৪:৪৩
মুরাদনগরে আসিফ ও কায়কোবাদ অনুসারীদের সংঘর্ষে আহত ৬৫
কুমিল্লার মুরাদনগরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মুরাদনগর উপজেলা সদরে সংঘটিত এই ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৬৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬ জন সাংবাদিকও, তাদের মধ্যে রয়েছেন শাহ ইমরান, আবদুল্লাহ আল মারুফ, মঈন নাসের খান রাফি ও হাবিবুর রহমান মুন্না। ঘটনার পর এলাকা জুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তার বাবা প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে আসিফের অনুসারীরা।

মিছিলটি উপজেলা কমপ্লেক্স থেকে থানার দিকে যাওয়ার সময় আল্লাহু চত্বর এলাকায় তাদের ওপর ইটপাটকেল ছোড়া হয়।

একই সময়ে বিএনপি নেতাদের কারাগারে পাঠানো ও রিমান্ড মঞ্জুরের প্রতিবাদে উপজেলা ছাত্রদলও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।

এতে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

হামলায় এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মিনহাজুল হক, ইউপি সদস্য মো. শেকন মিয়া, মাসুদুল রানা, ইউনুস মিয়া, মো. কাইয়ুমসহ আসিফ অনুসারী প্রায় ৫০ জন আহত হন। কায়কোবাদের অনুসারী ওমর উল্লাহসহ আহত হন ১৫ জন।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুরাদনগর উপজেলা সাবেক ছাত্র সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ওবায়দুল হক ছিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলাম, সেখানে পরিকল্পিতভাবে কায়কোবাদের অনুসারীরা হামলা চালায়।

তিনি দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান।

এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মিনহাজুল হক বলেন, আমিও হামলায় আহত হয়েছি। নিয়মিতভাবে কায়কোবাদের অনুসারীরা সভা-সমাবেশে বাধা দিচ্ছেন। এখানে গণতন্ত্র চর্চা ব্যাহত হচ্ছে।

অন্যদিকে, মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আমাদের কর্মসূচি চলাকালে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের অনুসারীরা পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি করে। তারা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে, এতে আমাদের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, অপপ্রচারের প্রতিবাদে মিছিল চলাকালে হামলা হয়। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।