মুরাদনগরে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি ফজর ঢাকায় গ্রেপ্তার

বিশেষ প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ২৯ জুন, ২০২৫, ৪:১৫
মুরাদনগরে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি ফজর ঢাকায় গ্রেপ্তার

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, মারধর এবং বিবস্ত্র ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৯ জুন) ভোরে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে।

এর আগে রাতে অভিযান চালিয়ে ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- একই এলাকার সুমন (আবদুল হান্নানের ছেলে), রমজান (জাফর আলীর ছেলে), আরিফ (মো. আলমের ছেলে) ও অনিক (তালেম হোসেনের ছেলে)।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে মুরাদনগরের বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে ভুক্তভোগী নারীর বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্ত ফজর আলী ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ওই নারীকে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় ওই নারীকে দেখতে পান। এ সময় ১০–১২ জন যুবক তার ওপর চড়াও হয়, মারধর করে এবং একটি ভিডিও ধারণ করে। পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

শনিবার রাতে ভাইরাল হওয়া ৫১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী বারবার বাঁচার আকুতি জানালেও কেউ এগিয়ে আসেনি।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, ধর্ষণ মামলার পাশাপাশি ভিডিও ধারণ ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইসিটি আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, “ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ফজর আলীকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্য চার আসামিকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।”

ভুক্তভোগী নারী হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য। তার স্বামী গত পাঁচ বছর ধরে প্রবাসে আছেন এবং তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।