যুদ্ধবিরতির পরই আইপিএল মাঠে ফেরানোর তৎপরতা

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরপরই আইপিএল পুনরায় শুরু করতে তৎপর হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় দ্রুত মাঠে গড়াতে পারে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ।
শনিবার (১০ মে) বিকেল থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে দুই দেশের কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক উত্তেজনার আপাত অবসান ঘটে। এরপরই আইপিএল ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু করে বিসিসিআই ও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
ক্রিকইনফো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ইতোমধ্যে তাদের বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচদের ফেরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে ১৫ মে’র আগে-পরে খেলা শুরু হতে পারে।
এর আগে সীমান্ত উত্তেজনার কারণে গত শুক্রবার আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে বিসিসিআই। ৮ মে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচটি নিরাপত্তা শঙ্কায় মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়।
বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদেশি খেলোয়াড়দের ফেরানো। অনেকেই শনিবার দেশ ছেড়েছেন। কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলোয়াড় ও কোচদের দ্রুত ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। যাদের ট্রানজিট ভ্রমণ ছিল, তাদের পরবর্তী যাত্রা আপাতত স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।
গুজরাট টাইটান্সের দুই বিদেশি খেলোয়াড়—জস বাটলার ও জেরাল্ড কুটসিয়া ভারত ছেড়েছেন। তবে দলটি তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। বেশিরভাগ দলই আশাবাদী, মে মাসে টুর্নামেন্ট শুরু হলে খেলোয়াড়রা ফিরবেন। তবে ২৫ মে’র পর খেলাগুলো গড়ালে বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে, কারণ তখন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল রয়েছে।
এ পর্যন্ত আইপিএলের ৫৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫৮তম ম্যাচটি বাতিল হয় নিরাপত্তা শঙ্কায়। এখনও বাকি ১২টি লিগ ম্যাচ ও চারটি প্লে অফ। এগুলো দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদে আয়োজনের চিন্তা করছে বিসিসিআই।
এই মুহূর্তে সাতটি দল প্লে অফে উঠার লড়াইয়ে আছে। ছিটকে গেছে চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস।
আপনার মতামত লিখুন