রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস করতে এসে আটক আওয়ামীপন্থী তিন কর্মকর্তা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিন কর্মকর্তা—যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত—তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্ররা। বৃহত্তর জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
আটক হওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী হিসাব পরিচালক; আমিনুল হক রাসেল, সহকারী হিসাব পরিচালক; এবং পঙ্কজ কুমার, সেকশন অফিসার।
তিনজনই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উপকমিটিতে সক্রিয় রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় চলমান জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে অভিযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁরা নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস করছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা অফিসে উপস্থিত হলে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা তাঁদের চিহ্নিত করে আটকে রাখে এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করে।
ছাত্ররা অভিযোগ করে, সরকারদলীয় পরিচয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে থাকা এই ব্যক্তিরা ন্যায্য দাবিদাওয়া ও প্রতিবাদী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন।
আটকের সময় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে অভিযুক্তদের থানায় নিয়ে যায়।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাই তাদেরকে নিয়ে যাচ্ছি। তারা এজাহারভুক্ত আসামি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মতিহার থানা পুলিশ আমাকে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখিয়েছে তাই আমি তাদেরকে নিয়ে যেতে দিয়েছি। তবে সাবেক শিক্ষার্থীরা যেটা করছে এটা কখনোই কাম্য না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কর্মরত অবস্থায় তারা এভাবে ধরে নিয়ে যেতে পারে না। পুলিশের কাজ পুলিশ করবে। পরেরবার থেকে আমি এটা মোটেও এলাউ করব না।
আপনার মতামত লিখুন