শুল্ক ছাড় নিয়ে আলোচনা ‘ইতিবাচক’, তবে বিস্তারিত জানাতে নারাজ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৫:২৫
শুল্ক ছাড় নিয়ে আলোচনা ‘ইতিবাচক’, তবে বিস্তারিত জানাতে নারাজ উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর বাড়তি সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে আনার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা ‘ইতিবাচক’ হলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরে সোমবার সচিবালয়ে ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আলোচনাগুলো উৎসাহব্যঞ্জক ছিল এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে হয়েছে। আমরা টানা তিন দিন ৩৫ থেকে ৪০ জনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কিছু বিষয় এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনা করে দ্রুতই তৃতীয় দফার আলোচনায় যাব।

পরবর্তী সফরের বিষয়ে তিনি জানান, সম্ভবত আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রে আবার আলোচনা শুরু হবে। ওনাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) সম্মতির ভিত্তিতে সময় নির্ধারিত হবে।

তবে আলোচনার ফলাফল ও সম্ভাব্য চুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন,

    যেহেতু এটি একটি ‘নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট’-এর আওতায় হচ্ছে, তাই কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র গত এপ্রিল থেকে শতাধিক দেশের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসে, যা পরে কমিয়ে ৩৫ শতাংশে নামানো হয়। এতে গার্মেন্টসহ অন্যান্য খাতে বড় ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, কারণ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পোশাক রপ্তানি বাজার।

এ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এতে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত তিন মাস স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হয়, যা গ্রহণ করে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার সুযোগ দেয়।

বাংলাদেশ সরকার তখন বাজেটে ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দেয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়।

এদিনের বৈঠকে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আগে আমরা হতাশ ছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, সরকার আন্তরিকভাবে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সানেম নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান, পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ, র‍্যাপিডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক এবং এফবিসিসিআই প্রশাসক হাফিজুর