সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওসিসহ আহত ২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে থানার ওসিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৭ জুন) সকালে উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামে এই সংঘর্ষ ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম (৪২), পুলিশ সদস্য মো. মামুনুর রশিদ (৩৬), আক্কাস মিয়া (৬০), মামুন মিয়া (২৫), শাকিব মিয়া (১৮), জাহাঙ্গীর (৪৮), রোকসানা বেগম (৪৮), রেহেনা (৩০), চুমকি আক্তার (১৪), রহমান মিয়া (৪৪), আলী আকবর (৩৪), আজিজ (২৬), জসিম মিয়া (৪৫), ছায়াতুন্নেছা (৬০), শিল্পী আক্তার (৩০) ও হোসনেহার বেগম (৪৫)। আহতদের নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কুলিকুন্ডা গ্রামের মো. কাউসার মিয়া প্রতিবেশী মো. এরশাদ মিয়ার বাড়ির জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা হয় এবং একাধিক সালিশ হলেও বিরোধের নিষ্পত্তি হয়নি। সম্প্রতি উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম. এ. হান্নানের মধ্যস্থতায় এক সালিশে সমঝোতা হলেও সেটি উপেক্ষা করে সোমবার সকালে মো. কাউসারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এরশাদ মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা তিনটি ঘর ভাঙচুর করে এবং নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে ওসিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলম বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে আমাদের ওপরও হামলা হয়। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন