স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন বিএনপি ত্যাগী ড. ফয়জুল হক

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মালয়েশিয়া বিএনপির সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ড. ফয়জুল হক। সম্প্রতি তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
সম্প্রতি ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতার ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. ফয়জুল হক বলেন, “আমি আর কোনো রাজনৈতিক দলের ছায়ায় থাকতে চাই না। ভালোকে ভালো, মন্দকে মন্দ বলার স্বাধীনতা নিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। আমার পরিচয় এখন থেকে একজন স্বাধীনচেতা মজলুম মানুষের প্রতিনিধি।”
তিনি বলেন, “দল নয়, দেশই আমার প্রথম পরিচয়। যে কোনো ভালো উদ্যোগে আমি সমর্থন জানাব—তা দলীয় হোক বা অদলীয়। আমি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি—এই অপরাজনীতির বিরুদ্ধে। আমার বিরুদ্ধে এলাকায় কোনো অভিযোগ নেই। বহুদিন ধরে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।”
বিএনপি ত্যাগের পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে ড. ফয়জুল জানান, ২০১৫ সাল থেকে তিনি বিএনপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং দেশে-বিদেশে ইসলামপন্থি ও সমাজকেন্দ্রিক রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ২০১৮ সালে ঝালকাঠি-১ ও ২ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীও ছিলেন। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির অবস্থান ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বক্তব্যে তিনি হতাশ হয়েছেন। বিশেষ করে ৫ আগস্টের ঘটনার পর ইসলামপন্থিদের প্রতি বিএনপির অবস্থান আওয়ামী লীগের সুরে মিলে যাওয়ায় তিনি নিজেকে কোণঠাসা অনুভব করেন।
“আমি কারও বিরুদ্ধে নই, মানুষের পক্ষেই রাজনীতি করতে চাই,” বলেন তিনি। পীর-মাশায়েখ, আলেম-ওলামা ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।
নিজেকে একজন ‘মজলুম প্রার্থী’ উল্লেখ করে ড. ফয়জুল বলেন, “আমি সংসদে যাওয়ার সুযোগ পেলে বৃহৎ পরিসরে মানুষের জন্য কাজ করতে পারব। ইনশাআল্লাহ, জনগণের আস্থায় আমি অন্তত ৬০ থেকে ৭০ হাজার ভোটে জয়লাভ করব।”
বেগম খালেদা জিয়া ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি চিরকাল শ্রদ্ধাশীল থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে ছিলেন পৌর জামায়াতের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন, সাবেক নেতা মো. সাকলাইন মোশতাকসহ জামায়াতপন্থি বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
সামাজিক শৃঙ্খলা, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করে তিনি সকল ধর্ম ও দলের মানুষের সহানুভূতি ও সমর্থন কামনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন