হয়রানিমূলক ৭১৮৪ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৩৭
হয়রানিমূলক ৭১৮৪ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া ৭ হাজার ১৮৪টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

রোববার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৭ হাজার ১৮৪টি মামলা আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। একটা মামলা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে অনেক কাগজপত্র প্রত্যাহার করতে হয়। অনেক সময় এমন মামলা আছে যেগুলো রাজনৈতিক হয়রানিমূলক নয়।

আইন উপদেষ্টা বলেন, অনেকে অনেকভাবে নাম ঢুকিয়ে দেয়। প্রতিনিয়ত আমাদের আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন। তারা অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করছেন। এর চেয়ে দ্রুত কাজ করা সম্ভব কি না আমার জানা নেই। এরপরও আমরা আরও কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে এটাকে আরও দ্রুততর করার চেষ্টা করছি।

৫০ হাজার থেকে এক লাখ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য এসেছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের সরকারের মেয়াদের মধ্যে অন্তত ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার চার্জশিট প্রস্তুত

 

আইন উপদেষ্টা বলেন, মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ঘটনা ঘটেছিল। এরই মধ্যে পুলিশ চার্জশিট প্রস্তুত করেছে। আইজিপি অফিস এটা পর্যালোচনা করছে। আমি আশা করছি চার্জশিট আজই আদালতে দাখিল করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা যে আইনগত পরিবর্তন এনেছি, চার্জশিট দাখিল করার পর ৯০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন করতে হবে। আমরা যেহেতু ফরেন্সিক ও ডিএনএ রিপোর্ট পেয়েছি, ডিএনএতে আলামত মিলেছে, আমার ধারণা এ বিচার কাজ আরও আগে, অনেক দ্রুত গতিতে শেষ হবে। এটা আমার ধারণা ও আশাবাদ।

 

ঢালাও জামিনের বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা

 

সাম্প্রতিক সময়ে জামিনের বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, জামিন হলে খালি বলা হয় আইন মন্ত্রণালয় কি করছে বা আসিফ নজরুল কি করছে! সাংবাদিকদের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষকে জানাচ্ছি যে প্লিজ আপনারা বিনীতভাবে বোঝার চেষ্টা করলে আমি খুব খুশি হব। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী বিভিন্ন মামলায় যে জামিন হয়েছে, আমরা সেগুলোর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখেছি প্রায় সব মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন দেওয়া হয়েছে। আপনারা জানেন হাইকোর্ট সম্পর্কে কোন ব্যাখ্যা বা মন্তব্য করার এখতিয়ার আমাদের নেই।

আসিফ নজরুল বলেন, আগাম জামিন দেওয়ার পর হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী জামিনপ্রাপ্তরা কেবল অধস্তন আদালতে বেইল বন্ড দাখিল করেন।

এ ক্ষেত্রে অধস্তন আদালত যে কাজটি করেছে সেটি হলো আগাম জামিনের মেয়াদ যখন শেষ হয় পুনরায় জামিন চাইতে গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই আবেদনটাকে খারিজ করে তাদেরকে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।

অধস্তন আদালত থেকেও জামিন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে যারা জামিন পেয়েছেন তারা এফআইআর বা এজহারভুক্ত আসামি নন।

শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন হয়েছে আওয়ামী লীগের সময়ে

 

শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনের ক্ষেত্রে চারটি জিনিস ঘটেছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, তারা আগের আমলে জামিন পেয়েছিল, এখন বেইলবন্ড নিয়ে বের হয়ে গেছে। অধিকাংশ জামিন হাইকোর্ট থেকে হয়েছে। এই জামিনগুলোর অনেকগুলো আপিল বিভাগে বাতিল হয়েছে।

তিনি বলেন, নিম্ন আদালত থেকে কিছু কিছু জামিন হয়েছে, এটা শোনার পর আমরা হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করার চেষ্টা করেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বের হওয়া ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা যায়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রেফতার করা গেছে। আপনাদের সঙ্গে আমি একমত, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জামিন আমাদের আরেকটু গভীরভাবে বিবেচনা করে দেওয়া উচিত।

আলোচিত অনেকের জামিন হলেও পরবর্তীতে আপিলে তা বাতিল হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আসিফ নজরুল। আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, এ যে এত জামিন দেওয়া হচ্ছেটচ্ছে এই ব্যাপারটা প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগ অবগত আছেন। আমার ধারণা এ বিষয়ে উপযুক্ত করণীয়, তারা আমাদের থেকে ভালো বুঝেন তারা ব্যবস্থা নেবেন।

ঐকমত্যের ভিত্তিতে নিবর্তনমূলক আইনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত

 

এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন বা অন্যান্য নিবর্তনমূলক আইনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বিচার বিভাগীয় যে সংস্কার কমিশন আছে তাদের প্রতিবেদনের অপেক্ষা করছি। আপনারা জানেন রাজনৈতিক ঐকমত্য কমিশনে আলাপ হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের দিকে যাচ্ছি।

প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, এটা প্রবাসীদের অধিকার। এ বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার ছিল। ১৫ বছর একটা সরকার ক্ষমতায় থেকে এটা করতে পারেনি। এটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারাধীন বিষয়। তারা বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষা করে দেখছেন- পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দেওয়া যায় কি না, ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া যায় কি না, প্রক্সি ভোট দেওয়া যায় কি না। আমার মনে হচ্ছে তারা ডিটারমাইন্ড। তারা কোনো না কোনো প্রক্রিয়ায় সীমিতভাবে হলেও এটা করতে বদ্ধপরিকর। আগামী নির্বাচন সামনে রেখেই এটা তারা বলেছেন।

কখনো তিনি বোতলের বন্দোবস্তকারী। এ সকল গুণাবলীতে পরিপূর্ণ ইএম কারখানা বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মোঃ ইউছুপ এর চাকরি জীবন । তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ তার অধনস্ত এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। প্রকাশে অনিচ্ছুক সবাই সাংবাদিককে জানান যে, জনাব ইউছুপ একজন দুর্নীতিবাজ , একরোখা এবং গোঁয়ার টাইপের অফিসার , উচ্চস্বরে কথা বলা বদমেজাজ করা যার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আর এই সব কিছুই উনি করেন এই বলে যে উনি প্রধান প্রকৌশলী খুব খাস লোক । এই খাস লোক হওয়ার জন্য প্রধান প্রকৌশলীর কোসাগারে প্রতিনিয়ত তিনি জমা দেন মোটা অংকের ঘুষ।

তাইতো পদায়নের মেয়াদ প্রায় চার বছর হওয়া সত্ত্বেও তার বদলির কোন উদ্যোগ প্রধান প্রকৌশলী নেন না বরং সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পর্যায় থেকে তার বদলির কথা বলা হলো প্রধান প্রকৌশলী নিরবতা এবং নিষ্ক্রিয়তা পালন করছেন । অথচ উপদেষ্টা মহোদয়ের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে তিন বছরের অধিক হলে দপ্তর পরিবর্তন করতে হবে এবং ঢাকা টু ঢাকা কোন পোস্টিং দেওয়া যাবে না।

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইউসুফ। অত্যন্ত ক্ষমতাধর কর্মকর্তা ইউসুফের বিরুদ্ধে রয়েছে নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতি,কমিশন,বানিজ্য ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কাজ ভাগাভাগি করে অর্থ লোপাটের অভিযোগ। তিনি অফিসে বসেন না। তার অফিসের কর্মচারীদের একটাই কথা স্যারকে তো আমরাই অফিসে পাই না আপনারা কিভাবে তার দেখা পাবেন। মো: ইউসুফ এর রয়েছে একটি শক্তিশালী আওয়ামী ঠিকাদার সিন্ডিকেট।

নির্দিষ্ট কমিশন ছাড়া তিনি কোন কাজ করেন না তা অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে। গনমাধ্যম কে তিনি এড়িয়ে চলেন। তিনি যেহেতু কমিশন ছাড়া কাজ করেন না তাই নিজেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখেন এমন অভিযোগ একাধিক ভুক্তভোগীর। শুধু তাই নয় এ ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে একজন ঠিকাদার পাওনা আদায়ে থানায় অভিযোগ পর্যন্ত দাখিল ও করেছিল । যা গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়ে উঠে এসেছিল। তারপর তড়িঘড়ি করে উক্ত ঠিকাদারের বিল পরিশোধ করেছিল বলে জানা গেছে। অর্থ বছরের শেষের দিকে এখন তিনি তার ১৫-২০% কমিশনের টাকা আদায়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কাজ না করে ও পুরো বিল উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ও আছে ইউসুফের বিরুদ্ধে।কাজ না করে বিল উত্তোলনের এ টাকা তার সিন্ডিকেটের সদস্যদের সাথে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে তা গনমাধ্যমের সংবাদে উঠে আসার পরেও তাকে কেন বদলী করা হয়নি?এ নিয়ে অধিদপ্তর জুড়ে রয়েছে গুঞ্জন। কিসের ক্ষমতায় এবং কার অনুকুল্যে তিনি এতটা ক্ষমতাধর।

ইএম কারখানা বিভাগ একটি অত্যন্ত লোভনীয় পোষ্টিং । এখানে নয় ছয়ের সুয়োগ খুব বেশী। তাই উক্ত স্থানটিতে আসার জন্য তিনি অনেক টাকা বিনিয়োগ ও করেছেন।একাধিক সূত্র তা নিশ্চিত করেছে।

মোঃ ইউসুফ অফিসের বাহিরে বসে তার কমিশন বাণিজ্য চালিয়ে যেতে খুব বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। মোঃ ইউসুফের অনিয়ম ও দুর্নীতির ফিরিস্তি অত্যন্ত বড়। জামাত ঘরনার এই কর্মকর্তা সরকারী অর্থ হাতিয়ে নিতে সিক্তহস্ত। তিনি মূলত: তার সিন্ডিকেটের ঠিকাদারদের দিয়ে কাজ করিয়ে থাকেন।

সুযোগ পেলেই বিদেশ টুরের নেশা রয়েছে জনাব ইউসুফের । তার এই ঘন ঘন বিদেশ যাওয়ার পিছনে রয়েছে তার কালো টাকা লুকানোর মূল রহস্য । তার কমিশন বানিজ্যের রেট ১৫-২০%। এমন তথ্য প্রমান ফিন্যান্স টুডের হাতে এসেছে।ভুক্তভোগী একাধিক ঠিকাদারগন নাম প্রকাশ না করার শর্তে গনমাধ্যমের সাথে এ কথা বলেন।আগারগাঁও এ সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ন একটি প্রকল্পে একজন ঠিকাদারের নিকট থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে বিল আটকিয়ে ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করেছে। উক্ত ঠিকাদার এখন ও পুরাপুরি বিল তুলতে পারে নাই।আমাদের অনুসন্ধানে তা বেরিয়ে এসেছে।অথচ ২ বছর পূর্বে উক্ত প্রকল্প সরকারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মো: ইউসুফ বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর অত্যন্ত আস্থাভাজন। সাবেক গৃহায়ন ও গনপূর্ত প্রতিমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন একটি নিদিষ্ট সিন্ডিকেট এর সক্রিয় সদস্য মো: ইউসুফ। গনপূর্ত অধিদপ্তরে এতটাই ক্ষমতাধর হয়ে উঠেছে যে তাহারা ধরাকে সরাজ্ঞান করেছে। এছাড়াও ইএম ও সিভিল শাখার একাধিক নির্বাহী প্রকৌশলী কমিশন বানিজ্যের হোতা। এরা অবৈধ অর্থ ও সম্পদ এতটাই বেশী অর্জন করেছে যে কোন আইন ও নীতিমালা এদের স্পর্শ করতে পারে না। এরা দুর্নীতি দমন কমিশন কে পর্যন্ত কেয়ার করে না। এদের একটাই কথা টাকা থাকলে সব ম্যানেজ হয়ে যায়। নামে-বেনামি ইউসুফ ও তার সিন্ডিকেটের অবৈধভাবে অর্জিত কোটি কোটি টাকা সম্পদ ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে। সিন্ডিকেট সমস্ত নিয়োগ,বদলি, পদায়ন এ নেপথ্য ভূমিকা রাখে। অতি সম্প্রতি সিন্ডিকেটের এক সদস্যের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পদায়ন হয়েছে। যেখানে তার পদায়ন হওয়ার যোগ্যতাই নাই। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছের কিছু লোকের সাথে ইতোমধ্যে এদের ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাবেক প্রতিমন্ত্রীর কাছের সিন্ডিকেটই আবার ও একই পথে হাঁটছে। শত শত কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে এরা সাপলুডু খেলছে। কমিশনের বিনিময় সিন্ডিকেটের ঠিকাদারদের কাজ দিতে তৎপর।

অফিসের ফাইল ড্রাইভার দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। এ সকল কারণে ঠিকাদারবৃন্দ সময়মতো বিল পাচ্ছে না। বিল না পাওয়ায় কাজে বিলম্ব হচ্ছে। আর তার ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। বিআরটিসি প্রকল্পে ৫% ঘুষ না দিলে বিল দেন না ইউসুফ।