জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঘোষিত রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলেছে, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ন্যায়বিচারের প্রতিফলন এবং এর মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা আংশিক হলেও স্বস্তি পাবেন। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার পর বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিচার স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে সম্পন্ন হয়েছে। তার দাবি, রায়টি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এতে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পাবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের মৃত্যুদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় নিজ দলের নেতাদের বিচার নিয়ে পূর্বে আপত্তি থাকলেও এবার ট্রাইব্যুনালের রায়কে ‘ইতিহাসে দৃষ্টান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, রায় প্রমাণ করেছে যে রাষ্ট্রক্ষমতাধর কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। পিলখানা হত্যা, শাপলা চত্বরের ঘটনা, গুম, ক্রসফায়ারসহ অন্যান্য অভিযোগের দ্রুত বিচারও তিনি দাবি করেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, জনগণের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণে দলটি কার্যকর কোনো অবস্থান নিতে পারেনি।
শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের কাছে ফেরত আনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে আশ্রয় দিয়ে ভারত ন্যায়বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে সোপর্দ করার আহ্বান জানান।

