হাসিনাসহ কয়েকজনের তদন্ত প্রায় শেষ : চিফ প্রসিকিউটর

2 Min Read
চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। - ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক । নিউজনেক্সটবিডি.কম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য কয়েকজন আসামির মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত কাজ শেষের পথে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিলে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনাসহ বেশকিছু আসামির মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত কাজ প্রায় শেষ। এর সঙ্গে নতুন করে জাতিসংঘের দেওয়া প্রতিবেদন যুক্ত করে দাখিল করা হবে।

এর আগে, জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ নির্দেশ দেন। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে গণহত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারান ওই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ওই বছরের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ২০১৫ সালের পর থেকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম অনেকটা গতি হারিয়ে ফেলে। তবে হাসিনা সরকার পতনের পর ফের ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম নতুনভাবে শুরু হয়েছে।

newsnextbd20
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *