জিয়ার শ্রমনীতি পুনরুজ্জীবনের প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১ মে, ২০২৫, ২:৪০
জিয়ার শ্রমনীতি পুনরুজ্জীবনের প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ার‌ম্যান তারেক রহমান, ছবি - সংগৃহীত।

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের শ্রমজীবী মানুষ আজ চরম কষ্টে জীবনযাপন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) মহান মে দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত বার্তায় তার বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

তারেক রহমান বলেন,

  শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার লড়াইয়ে আজকের মহান মে দিবস আমাদের নতুন করে শপথ নেওয়ার দিন। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী যারা শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় লড়াই করছেন, তাদের সংগ্রামের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

তিনি দেশে-বিদেশে কর্মরত সব শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সংগ্রামী অভিনন্দন জানান এবং মহান মে দিবসের কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

বিবৃতিতে ১৮৮৬ সালের শিকাগোর ‘হে মার্কেট’ ট্র্যাজেডিতে শহীদ হওয়া শ্রমিকদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক আত্মত্যাগের ফলেই বিশ্বব্যাপী শ্রমিকরা আট ঘণ্টা কর্মদিবসের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন।

বিএনপি নেতা দাবি করেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শ্রমিকদের মর্যাদা ও কল্যাণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে শ্রমিক বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন এবং শ্রমিকের পরিশ্রমকে উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি বলে মনে করতেন।

তারেক রহমান বলেন, জিয়াউর রহমানের সময় শ্রম আইন সংস্কার, বেতন ও মজুরি কমিশন গঠন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠনসহ বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতা আজও দেশের পোশাক খাতে শ্রমিকদের অবদানের মাধ্যমে টিকে আছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান দুঃশাসনের ছোবলে শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত। গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের সঙ্গে শ্রমিকদের আত্মদানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, কিন্তু এখনও শ্রমিকরা বঞ্চিত ও অবহেলিত। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত হবে।

তারেক রহমান প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, বিএনপি আবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেলে খেটে খাওয়া মানুষ ও শ্রমজীবী শ্রেণির কল্যাণে বাস্তবমুখী ও টেকসই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।