কাশ্মীরে উত্তেজনার জেরে পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৮

পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের কয়েকটি অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এতে অন্তত আটজন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আইএসপিআর।
আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। এখন পর্যন্ত দুইজন নিখোঁজ রয়েছে বলেও বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
তিনি জানান,
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার পর ভারতের দিক থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ এবং মুজাফফরবাদে আঘাত হানে। তিনি এই হামলাকে “কাপুরুষোচিত” উল্লেখ করে বলেন, পাকিস্তান এর জবাব দিতে শুরু করেছে।
ভাওয়ালপুরের আহমেদপুর ইস্ট এলাকায় একটি মসজিদে হামলায় একটি শিশু নিহত হয় এবং অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। ওই এলাকার একটি বাড়িতেও হামলার ফলে শিশুটির বাবা-মা আহত অবস্থায় আটকা পড়েন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
কোটলিতে দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং একটি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুজাফফরবাদে একটি সড়কে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা স্থল ও আকাশপথে জবাব দিচ্ছে।
এই হামলা এমন এক সময় হলো যখন ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে।
এদিকে, ভারতের পক্ষ থেকেও এই হামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকার জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে, যার আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিযানে পাকিস্তানের সেনা স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।
দুই দেশের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধাবস্থা ঘনীভূত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন : ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: উপমহাদেশ কি শান্তির আশ্রয় হারাচ্ছে?
আপনার মতামত লিখুন