বিএনপি-গণঅধিকার বিরোধে উত্তপ্ত গলাচিপা, জারি ১৪৪ ধারা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশ: ১৩ জুন, ২০২৫, ৬:৫৮
বিএনপি-গণঅধিকার বিরোধে উত্তপ্ত গলাচিপা, জারি ১৪৪ ধারা

সাম্প্রতিক ছবি

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় জারি করা হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া বটতলা বাজার এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরকে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনার সূত্রপাত।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক আদেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে আদেশ কার্যকরের বিষয়টি জানানো হয়।

জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ও বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদ উভয়পক্ষ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে গলাচিপা থানা প্রশাসন ইউএনওকে অবহিত করে।

এ প্রেক্ষিতে গলাচিপা পৌরসভা ও আশপাশের এলাকায় ১৩ জুন সকাল ৮টা থেকে ১৫ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে পাঁচজন বা ততোধিক ব্যক্তির জমায়েত, মিছিল, সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং দেশীয় অস্ত্র বা বিস্ফোরক বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

ইউএনও মাহমুদুল হাসান জানান, “সাধারণ মানুষের জানমাল এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”

এদিকে, গণঅধিকার পরিষদের দাবি, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসান মামুনের সমর্থকরা নুরুল হক নূরকে পাতাবুনিয়া এলাকায় অবরুদ্ধ করে রাখে। ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করেন নূর নিজেই।

ঘটনার প্রতিবাদে গলাচিপা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সংবাদ সম্মেলন এবং বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে কর্মসূচি স্থগিত রয়েছে।

উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পটুয়াখালী-৩ আসনে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্ভাব্য সহিংসতা রোধে স্থানীয় প্রশাসন অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।