দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৫ জুলাই পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৫ কোটি ডলার বা ৩০ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর নির্ধারিত হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী এই রিজার্ভের প্রকৃত পরিমাণ ২৪ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, গত ৩০ জুন রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। সে হিসেবে ২৪ দিনে কমেছে প্রায় ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার, কারণ ওইদিন এ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার।
গত ৮ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক আঞ্চলিক অর্থ পরিশোধ সংস্থা এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) মে ও জুন মাসের আমদানি বকেয়া বাবদ ২০১ কোটি ডলার পরিশোধ করে। এর ফলে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ অনুযায়ী তা দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।
সরকার পরিবর্তনের পর প্রবাসী আয়ে স্পষ্ট ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি। একই সময়ে রপ্তানি খাতেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
প্রবাসী আয় ও রপ্তানিতে টানা ঊর্ধ্বগতির ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে, যা রিজার্ভে চাপ কমাতে ভূমিকা রেখেছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত ১০ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেনি। বরং এই সময়ে বাজেট সহায়তা, বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ও রাজস্ব খাতের সংস্কার উদ্যোগে কয়েক বিলিয়ন ডলার এসেছে, যা রিজার্ভ বাড়াতে সহায়ক হয়েছে।
এছাড়া আমদানি তুলনামূলকভাবে কম থাকায় ডলারের চাহিদাও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। ফলে বাজারে ডলারের মূল্য কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু করেছে।
আপনার মতামত লিখুন