আলোচিত দেশত্যাগের এক মাস পর দেশে ফিরলেন আবদুল হামিদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশ: ৯ জুন, ২০২৫, ৪:২২
আলোচিত দেশত্যাগের এক মাস পর দেশে ফিরলেন আবদুল হামিদ

থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন আবদুল হামিদের এ ছবি পোস্ট করেন তাঁর ছেলে।

প্রায় এক মাস চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রোববার (৮ জুন) গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩৯৯ ফ্লাইট রাত ১টা ২৫ মিনিটে অবতরণ করে, সেই ফ্লাইটেই তিনি এসেছেন।”

আবদুল হামিদের সঙ্গে ছিলেন তার শ্যালক নওশাদ খান এবং ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার। বিমান থেকে তাকে হুইল চেয়ারে নামানো হয়। এ সময় তার পরনে ছিল লুঙ্গি ও একটি নীল চাদর।

গত ৭ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন আবদুল হামিদ। তার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের একটি মামলায় আসামি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তিনি দেশত্যাগ করলেন, তা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন ওঠে।

এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।

এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত ও দলটি নিষিদ্ধ করা হয়।

সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই ১৪ মে ফেসবুকে এক আবেগঘন পোস্ট দেন তার ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার। সেখানে তিনি জানান, তার বাবা ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং শারীরিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল। তিনি লেখেন, “৮২-৮৩ বছর বয়সী একজন মানুষ এখন ২ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না, ২ ঘণ্টা বসে থাকতে পারেন না। ওজন কমে গিয়ে ৫৪ কেজিতে নেমে এসেছে, যার ফলে প্যান্ট পরাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

আবদুল হামিদ ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার মেয়াদ শেষে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দায়িত্ব নেন। এরপর থেকে রাজধানীর নিকুঞ্জে নিজের বাসায় বসবাস করছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি।