রাশেদ খাঁনের মামলা: সাবেক দুই উপাচার্য ও ছাত্রলীগ নেতারা আসামি

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক দুই উপাচার্যসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আন্দোলনের তৎকালীন সংগঠক ও গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
রোববার (৪ মে) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর।
মামলার এজাহারে প্রথম আসামি করা হয়েছে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে। এছাড়া মামলায় নাম রয়েছে সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী, বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও আল নাহিয়ান খান জয়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ঢাবি শাখার সাবেক নেতা আবিদ আল হাসান, মোতাহার হোসেন প্রিন্স, সাকিব হাসান সুইম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মেহেদী হাসান এবং ঢাবির সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সামাদের।
এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও প্রায় পাঁচ শতাধিক ছাত্রলীগকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে রাশেদ খাঁন উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালালে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে নামেন। পরদিন রাত ১টার দিকে ‘ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ’ লেখা টিশার্ট পরা যুবকরা উপাচার্যের বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।
তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন আমি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে থাকলেও ভিসির বাসভবন ভাঙচুর মামলায় আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং রিমান্ডে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চালানো হয়।
রাশেদ আরও বলেন,
এই ঘটনায় সে সময় একটি তদন্ত কমিটি করা হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। এখন আমরা ন্যায়বিচার ও প্রকৃত হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে মামলাটি করেছি।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদে হামলা চালানো হয় এবং ছাত্রলীগ নেতারা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করে। মামলার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন