কথায় আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। আর সেই মাছের শিরোমণি হলো ইলিশ। স্বাদ ও পুষ্টিগুণে অনন্য এই মাছকে বলা হয় ‘মাছের রাজা’। ভাজা, ভাপা, ঝোল কিংবা যেকোনো রান্নাতেই ইলিশের স্বাদ অতুলনীয়। শুধু স্বাদ নয়, ইলিশের আছে নানা স্বাস্থ্যগুণও, যা অনেকের অজানা।
ইলিশের তেলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা হ্রাস করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
চোখের জন্য উপকারী
ইলিশে থাকা ভিটামিন এ, ডি, ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের দৃষ্টি শক্ত রাখে। ভিটামিন এ রাতকানা প্রতিরোধ করে, একইসঙ্গে অন্ধত্ব রোধেও ভূমিকা রাখে।
বাতের ব্যথা কমায়
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতিতে অস্টিওআর্থারাইটিস বা বাতের ব্যথা দেখা দেয়। ইলিশে প্রচুর ওমেগা-৩ থাকায় নিয়মিত খেলে বাতের ঝুঁকি কমে।
হাঁপানি প্রতিরোধে সহায়ক
গবেষণা বলছে, সামুদ্রিক মাছ ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। নিয়মিত ইলিশ খেলে ফুসফুস শক্তিশালী হয় এবং শিশুদের হাঁপানি উপশমেও উপকার পাওয়া যায়।
ত্বকের যত্নে ইলিশ
ইলিশে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন ত্বককে রাখে সুস্থ। পাশাপাশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বলিরেখা ও সূক্ষ্ম রেখা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ইলিশ খেলে ত্বক হয় মসৃণ, কোমল ও উজ্জ্বল।

