তবে কী ত্রুটি ছিল প্রি-ফ্লাইট ইন্সপেকশনে?

যেকোনো বিমান উড্ডয়নের আগে ‘প্রি-ফ্লাইট ইন্সপেকশন’ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পাইলট ও বিমান প্রকৌশলীরা সম্পাদন করেন। কিন্তু কক্সবাজার-ঢাকা ফ্লাইটে চাকা উড্ডয়নের পর খুলে পড়ার ঘটনা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে, প্রি-ফ্লাইট ইন্সপেকশনে কোথায় ত্রুটি ছিল?
বিমান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রি-ফ্লাইট ইন্সপেকশনে যেকোনো ধরনের গাফিলতি বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। “অনেক কিছুই হতে পারে, যেমন ম্যাটেরিয়াল ফেইলিওর বা যান্ত্রিক ত্রুটি। তবে আমি মনে করি, এ ঘটনায় হিউম্যান গাফিলতি কিছুটা হলেও রয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন,” মন্তব্য করেছেন একজন অভিজ্ঞ বিমান প্রকৌশলী।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানটির চিফ অব সেইফটি ক্যাপ্টেন এনাম তালুকদারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে ত্রুটির প্রকৃতি ও এর পিছনে কারণ।
একজন পাইলট বলেছেন, “প্রি-ফ্লাইট ইন্সপেকশন আমাদের উড্ডয়ন নিরাপদ করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই পর্যায়ে কোনো ত্রুটি থাকলে তা শীঘ্রই সনাক্ত করে ঠিক করতে হয়।”
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, প্রি-ফ্লাইট ইন্সপেকশন শুধু যান্ত্রিক পরীক্ষা নয়, এটি পাইলট ও ক্রুদের বিমানটির প্রতিটি অংশ সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভের জন্য একটি প্রস্তুতিমূলক প্রক্রিয়া। এই ধাপ পুরোপুরি সঠিকভাবে না হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
প্রকৌশলী আব্দুল বাতেন বলেন, বর্তমান ঘটনাটি প্রি-ফ্লাইট ইন্সপেকশনের গুণগত মান ও কার্যকারিতার ওপর নতুন প্রশ্ন তুলেছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং বিমান সংস্থাগুলোকে আরও জোরদার ও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।
আপনার মতামত লিখুন