অভিবাসন নিয়ে বিক্ষোভ তুঙ্গে, ট্রাম্পের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক :
প্রকাশ: ১০ জুন, ২০২৫, ৫:০০
অভিবাসন নিয়ে বিক্ষোভ তুঙ্গে, ট্রাম্পের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিক্ষোভ আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাম্প প্রশাসন সেখানে প্রায় ৭০০ মেরিন সেনা ও ৪ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছে।

সোমবার (৯ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে অস্থায়ীভাবে মোতায়েন করা হবে ৭০০ মেরিন সেনা। তারা দায়িত্ব পালন করবে যতক্ষণ না অতিরিক্ত ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা পৌঁছায়।

টানা চতুর্থ দিনের মতো লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী আন্দোলন চলছে। শত শত মানুষ জড়ো হয়েছে একটি ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারের সামনে, যেখানে অভিবাসীদের আটক রাখা হয়েছে।

মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইনস্যারেকশন অ্যাক্ট প্রয়োগ করা হয়নি, যার আওতায় সেনাবাহিনী বেসামরিক আইন প্রয়োগে সরাসরি অংশ নিতে পারে।

এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসোম এই সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এবং ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি একে রাজ্যের সার্বভৌমত্ব এবং ফেডারেল আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন।

গভর্নর নিউসোম বলেন, “এই মাত্রার সামরিক হস্তক্ষেপ সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক এবং নজিরবিহীন।”

তিনি আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে শনিবার প্রথম দফায় ২ হাজার সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের প্রধান জিম ম্যাকডনেল বলেন, মেরিন সেনা মোতায়েন সম্পর্কে তার বিভাগ কোনো আনুষ্ঠানিক নোটিশ পায়নি। তিনি একে বড় ধরনের কৌশলগত ও কার্যক্রমগত চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমি আর কোনো উপায় দেখছি না। সহিংসতা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাকে ব্যবস্থা নিতেই হবে।”

তবে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে ‘বলপূর্বক ক্ষমতা প্রয়োগ’ বলে সমালোচনা করেছে।