ওসি মনজুরুল হককে উদ্দেশ করে আকতার হোসেন বলেন, ‘ওসি সাহেব, দোকান বন্ধ করেন। ন্যাংটা করে মহেশখালী থেকে বের করে দেওয়া হবে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ওসি রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন, মামলা বাণিজ্যে জড়িত এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে আঁতাত করছেন।
আকতার হোসেনের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁর সব দলীয় পদ স্থগিত করেছে বিএনপি।
বুধবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ড ও ওসিকে অশোভনভাবে হুমকি দেওয়ার কারণে আকতার হোসেনের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
আকতার হোসেন অভিযোগ করেন, থানার ওসির চেম্বার ‘দোকানে’ পরিণত হয়েছে, যেখানে টাকা দিলে মামলা নেওয়া হয়, বেশি টাকা দিলে তার পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল থেকে যদি আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে, মহেশখালী থেকে বের করে দেব। আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করছেন—সব খবর আমার কানে আসে। আল্লাহর কসম, ন্যাংটা করে ছাড়তে বাধ্য করবো।
সভায় উপস্থিত বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরাও ওসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ বছরের ২০ মে মহেশখালী থানায় যোগ দেন মনজুরুল হক। আকতার হোসেনের বক্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি ওই ভিডিও এখনও দেখিনি বা শুনিনি। মামলা বাণিজ্য বা রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ সত্য নয়। কেন এসব বলা হচ্ছে, তারা ভালো জানেন।’
কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী বলেন, “রাজনীতিতে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। অশালীন বা শালীনতা বিবর্জিত বক্তব্য দিয়ে পার পাওয়ার সুযোগ বিএনপির কোনো নেতার নেই।”
আপনার মতামত লিখুন