কারাগারে ‘ফাঁস’: আন্দোলনকাণ্ডে অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান সুজনের মৃত্যু

সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন কারাগারে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। জুলাই-অগাস্ট হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় কারাবন্দি থাকা সুজনকে রোববার দুপুরে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা সুজনকে দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়।
কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মোতাহের হোসেন জানান, কারাগারের সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে সুজন আরও দুই বন্দির সঙ্গে ছিলেন। সকালবেলা নাস্তা করার পর এক বন্দি আদালতে হাজিরা দিতে যান, অন্যজন ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই ফাঁকে সুজন নিজের গামছা দিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন।
তিনি বলেন, “দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।”
সাইদুর রহমান সুজনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়কার একাধিক মামলার কথা উল্লেখ করে মহাপরিদর্শক বলেন, “তিনি মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
গত ২০ জানুয়ারি রাতে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার হন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এই সাবেক চেয়ারম্যান। সেদিনই তাকে ডিবি থেকে সাভার থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে সুজনকে হাতে পিস্তল নিয়ে গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়। ঘটনার পর তাকে অভিযুক্ত করে অন্তত ১৪টি মামলা দায়ের হয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন ছিল।
এর আগেও, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন