ডায়াবেটিস বা ওজন কমাতে চাইলে আম খাওয়া যাবে, তবে মানতে হবে নিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ২৪ জুন, ২০২৫, ৫:০০
ডায়াবেটিস বা ওজন কমাতে চাইলে আম খাওয়া যাবে, তবে মানতে হবে নিয়ম

গ্রীষ্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল আম, যার স্বাদে-গন্ধে মুগ্ধ হয় সবাই। তবে এই মিষ্টি ফল খাওয়া নিয়ে বরাবরই দ্বিধায় থাকেন ডায়াবেটিস রোগী এবং ওজন কমাতে আগ্রহীরা। অনেকেই মনে করেন, আম খেলেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে কিংবা ওজন বেড়ে যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি পুরোপুরি ঠিক নয়।

পুষ্টিবিদদের মতে, আমে থাকা শর্করা প্রাকৃতিক এবং সঠিক নিয়মে খেলে তা ডায়াবেটিস রোগী বা ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা কারও জন্য ক্ষতিকর নয়। বরং এই ফলের পুষ্টিগুণ এতটাই বেশি যে, তা বাদ দেওয়া মানেই একাধিক উপকার থেকে বঞ্চিত হওয়া।

পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিক জানান, ডায়াবেটিস রোগীরাও স্ন্যাকস হিসেবে প্রতিদিন একটি করে আম খেতে পারেন। তবে খাওয়ার সময় ও পরিমাণের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ভরপেট ভাত বা রুটি খেয়ে সঙ্গে আম খেলে অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে ঢুকে পড়ে, যা সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের মাঝখানে, বা সন্ধ্যায় অন্য কিছু না খেয়ে একটা আম খাওয়া যেতে পারে।

প্রাকৃতিক ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর আমে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’, ‘এ’, ‘ই’, ‘কে’, ফলেট (বি৯), পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম ও আয়রন। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ত্বকের জন্যও এটি উপকারী।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে, দৈনন্দিন শক্তি খরচের পরিমাণের সঙ্গে মিলিয়ে খাদ্য নির্বাচন করতে হবে। কেউ যদি ১৮০০ কিলোক্যালোরি শক্তি ব্যয় করেন, তাহলে তাকে সেই অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করতে হবে বা অতিরিক্ত খেলে শরীরচর্চা করে তা ব্যয় করতে হবে।

তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, আম খাওয়ার বিষয়ে অকারণে ভয় না পেয়ে বরং সচেতনতা মেনে উপভোগ করা হোক এই মৌসুমি রসালো ফল। কারণ পরিমাণ ও পদ্ধতি ঠিক থাকলে আম শুধু উপকারীই নয়, বরং প্রয়োজনীয়ও।