পঞ্চগড়ে শিশুর গলায় ছুরি ধরে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ৫ জুলাই, ২০২৫, ৪:৪৭
পঞ্চগড়ে শিশুর গলায় ছুরি ধরে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ভয়াবহ এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দেড় বছর বয়সী ছেলের গলায় ছুরি ধরে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছয় যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে ভুক্তভোগী নারী নিজেই পঞ্চগড় সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার জগদল বাজার এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার তিন মাইল সুরিভিটা এলাকার একটি চা বাগান সংলগ্ন নির্জন স্থানে।

গ্রেপ্তার চার আসামি হলেন সদর ইউনিয়নের জগদল বাজার এলাকার জনি ইসলাম (২৭), বিপ্লব হোসেন (২৫), মকছেদুল ইসলাম (৩৩) এবং সাতমেড়া ইউনিয়নের বদিনাজোত এলাকার সাদেকুল ইসলাম (২৮)।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বোদা উপজেলার ময়দানদিঘি ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই নারী তার অসুস্থ শিশুকে নিয়ে ইজিবাইকে করে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে পরিচিত একজন ইজিবাইক চালক তাকে নাম ধরে ডাকেন। এরপরই জনিসহ ছয়জন তাকে জোরপূর্বক একটি চা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তার শিশুপুত্রের গলায় ছুরি ধরে তাকে ভয় দেখিয়ে ছয়জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। নির্যাতনের একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে অভিযুক্তরা তাকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।

রাত ১টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় ওই নারী ও তার শিশুকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিকদের বলেন, ছোট্ট ছেলের গলায় ছুরি ধরায় আমি অসহায় হয়ে পড়ি। চিৎকার করতে গেলে আরও ভয় দেখায়। ছয়জন আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আমি চারজনকে চিনতে পেরেছি। এখন আত্মীয়-পরিজনের কেউ কেউ আপসের জন্য চাপ দিচ্ছে। আমি বিচার চাই।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আবুল কাশেম বলেন, রাতে পুলিশ অচেতন অবস্থায় এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। শারীরিক পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। আপাতত তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারী ও তার শিশুকে উদ্ধার করা হয়। ভুক্তভোগীর জবানবন্দি অনুযায়ী চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।