বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৬ মে, ২০২৫, ৩:৩৯
বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলা

সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন ও তার ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময়। ছবি - সংগৃহীত

বাগেরহাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে শেখ হেলাল উদ্দীন ও তার ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অর্থপাচার মামলার আসামি এবং সদ্য জামিনপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান তালুকদার।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে বাগেরহাট শহরের সরুই এলাকায় আব্দুল মান্নান তালুকদারের কার্যালয়ে গিয়ে শেখ হেলাল, শেখ তন্ময় এবং আরও তিনজন মিলে তার কাছে দুইশ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। অভিযোগে বলা হয়, চাঁদা না দিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া, মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও প্রাণনাশের হুমকি দেন আসামিরা।

ভয়ভীতি প্রদর্শনের মুখে সেদিনই গ্রাহকদের আমানত থেকে তুলে সাত কোটি ৩০ লাখ টাকা আসামিদের হাতে তুলে দেন মান্নান। এরপর ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি আবার তার অফিসে গিয়ে বাকি টাকা চেয়ে হুমকি দেন তারা। তখন আরও ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন তিনি।

মোট ২০ কোটি টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন বাদী। মামলায় আসামি করা হয়েছে শেখ হেলালের ব্যক্তিগত সহকারী মো. ফিরোজুল ইসলাম, শেখ তন্ময়ের ব্যক্তিগত সহকারী শাহীন এবং শেখ শহীদুল ইসলামকে।

বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদ-উল-হাসান জানান, এজাহারটি পাওয়ার পর দণ্ডবিধির ৩৮৬ ও ৩৮৭ ধারায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি শেখ শহীদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ অন্য আসামিদের ধরতে তৎপর রয়েছে বলেও জানান ওসি।

এদিকে, ২০১৯ সালের ৩০ মে আব্দুল মান্নান তালুকদার ও তার প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছিল দুদক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের খুলনা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. শাওন মিয়া।

সেই মামলায় দীর্ঘ ছয় বছর কারাভোগ করেন আব্দুল মান্নান তালুকদার। সম্প্রতি উচ্চ আদালতের জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এখন পরিবেশ অনুকূলে আসায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান বাদী।

এই মামলায় সাক্ষী রাখা হয়েছে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের মাঠ কর্মকর্তা, ক্যাশিয়ার এবং ক্যাশ সহকারীকে।